Daily
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে তৈরি হওয়া নিম্নচাপে ব্যাপক ক্ষতির মুখে বাংলা চাষিরা। একদিকে যখন খারিফ মরশুমে আমন ধান কাটার সময় চলছিল ঠিক তখনই ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে তৈরি হলো ব্যাপক নিম্নচাপ। নিম্নচাপের চাষিরা অনেকাংশেই মাঠের ধান এখনো পুরোপুরি গোলায় তুলতে পারেনি। সেই মাঠ ভরে গেল জলে। তাই ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বাঁকুড়া জেলার চাষীরা।
যদিও কৃষি দফতরের সর্তকতা আগে থেকেই দেওয়া হয়েছিল চাষীদের। তবুও বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লক জয়রামবাটি সহ বিভিন্ন ব্লকে মাঠের পর মাঠে রয়ে গিয়েছে পাকা ধান। সঙ্গে আলুর বীজ। মাঠে ঢুকতে শুরু করেছে হু হু করে জল। সতর্কবার্তা থাকা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত কুল রক্ষা করতে পারবেন বলে মনে করছেন না ইন্দাস ব্লকের চাষিরা। দেখুন বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের চাষিরা কিভাবে দেখাচ্ছেন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ।
বাঁকুড়া কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ করে ওঠা সম্ভব হয়নি। তবে সতর্কবার্তা যেহেতু ছিল তাই চাষীরাও ছিলেন সচেতন। অনেকটাই ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন জেলা কৃষি দপ্তরের ডেপুটি ডাইরেক্টর দীপঙ্কর রায়।
আজ সকাল থেকেই ইন্দাস ব্লকের বিভিন্ন মাঠে চাষিরাও নেমে পড়েছেন জমি থেকে জল সরানোর কাজে। তবে ইন্দাস ব্লকের বিভিন্ন জমিগুলোতে যেভাবে হু হু করে জল ঢুকছে তাতে ফসল বাঁচানো কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে চিন্তিত এখানকার চাষিরা।
বাঁকুড়া জেলা জুড়ে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে যে চাষবাসের ক্ষতি হয়েছে তা মেনে নিয়েছেন কৃষি আধিকারিক। বৃষ্টি থামলে তবেই ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমান বোঝা যাবে।
বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন ব্লক গুলিতে ধানের পাশাপাশি আলু, সবজি, সরষে সহ বিভিন্ন ধরনের ফসল ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই চাষীদের মাথায় হাত পড়েছে। তবে বৃষ্টিপাত যে এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি হয়েছে তাও স্বীকার করে নিয়েছেন কৃষি দপ্তরের এই আধিকারিক।
মাঠের পর মাঠে একরের পর একর পাকা ধান এখন শুয়ে বৃষ্টির জলে। ক্ষতি যে কতটা হবে তা ভেবেই কুল পাচ্ছেন না এখানকার কৃষকরা।
বৃষ্টির প্রভাব কমলে রোদ উঠলে মাঠের জল শুকালে তবে ক্ষয়ক্ষতি সঠিক পরিমাপ করতে পারবে কৃষি দপ্তর। তখনই জানা যাবে জাওয়াদের প্রভাবে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ বাঁকুড়ার কৃষকদের গায়ে কতটা দগদগে ক্ষত তৈরি করল।
আবদুল হাই
বাঁকুড়া