Trending

ঝাড়খণ্ডের ব্যারেজের ছাড়া জলে এখনও জলমগ্ন বহরমপুরের সাপুই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা। একে ঝাড়খণ্ডের ব্যারেজের ছাড়া জল অন্যদিকে বাবলা নদীতে জলপ্লাবন এই দুই দিক থেকে সাপুই গ্রাম পঞ্চায়েতের কমবেশি কুড়ি হাজার হেক্টরেরও বেশি চাষের জমিতে এখনো নামেনি জল। মাঠের ধান মাঠেই মারা গেল। আর পাটের তো কোন কথাই নেই। পুরো পাটের খেতেই ধরেছে পচন।
ফিবছরের অতি ভারী বৃষ্টি কিংবা ঝাড়খণ্ডের ব্যারেজের জলে বিঘার পর বিঘা জমি থাকে জলের তলায়। গোটা পঞ্চায়েত এলাকার কৃষকরা আজ সর্বস্বান্ত। জলের কাছে।
কৃষক হাতড়াচ্ছে তার শেষ সম্বলটুকুকে। কিন্তু মাঠ থেকে পাট তুলতেই দেখা গেল পুরো গাছটাই পচে গিয়েছে।
বহরমপুর ব্লকের সাপুই চৌরীগাছা গ্রাম পঞ্চায়েতের পোড়াডাঙ্গা এলাকার মাঠের পর মাঠ এখনও রয়েছে জলমগ্ন। তবে ধীরে ধীরে জল নামলেও বিস্তীর্ণ এলাকার জমিতে ধান, পাট পুরোপুরি শেষ হয়ে গিয়েছে।
মাঠের ধারে সারি সারি পাটকাঠি সাজানো রয়েছে। অন্যান্য বছর যে পরিমাণ পাট কাঠির বহর থাকে তার থেকেই বোঝা যাচ্ছে বেশিরভাগ পাট গাছ এবার রয়েছে জলের নিচে। তাই ডাঙ্গায় পাটকাঠির পরিমাণটাও অনেকটাই কম।
মাঠে জলের ভিতর সারিবদ্ধ ভাবে মোষগুলো ফিরছে নিশ্চিত একটু জমির খোঁজে।
পঞ্চায়েত প্রধান থেকে বিডিও সবাই আশ্বাস দিয়েছেন প্রশাসনিক নিরাপত্তার। তবুও আশ্বস্ত হতে পারছেন না এখানকার কৃষকরা। চাইছেন স্থায়ী সমাধান। কিন্তু অতি ভারী বৃষ্টি কিংবা ঝাড়খণ্ড ব্যারেজের জল দুটোই যে অনিশ্চিত।
তবে ধানের জমিতে বা পাটের জমিতে ফসল নষ্ট হলেও কৃষকের যাতে ক্ষতি না হয় তার জন্য পরামর্শ দিলেন জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা তাপস কুন্ডু।
উপকৃষি অধিকর্তার যেখানে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন কিভাবে জলাজমিতে আবারো ফসল ফলানো যায় সেখানে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি জেলা সভাপতি জিয়ারুল ইসলাম তো দাবি তুললেন রাজ্য কেন্দ্র সরকারের হস্তক্ষেপের।
মাঠে যে জল এখনো বেশ গভীর সেটা দেখতে ক্যামেরা নিয়ে নেমে পড়লেন একেবারে সেই ধানক্ষেতে আমাদের সংবাদদাতা কথা বললেন কৃষকের সঙ্গে।
কুশল শরিফ, মুর্শিদাবাদ