Daily
মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধান। আর সেই ব্যবধানে আবারও কৃষকের মাথায় সর্বনাশ ডেকে নিয়ে আসলো নিম্নচাপের অকাল বর্ষণ।
পুজোর আগে আগে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কৃষকরা একদিকে যেমন রবিশস্যের আগাম প্রস্তুতি নিয়ে চাষাবাদ শুরু করে দিয়েছিলেন দুটো বাড়তি পয়সা রোজগারের আশায়। সেই আশায় বাদ সাধল নিম্নচাপের অকাল বর্ষণ। পরিণতি যা হওয়ার তাই হল।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মিনাখাঁ, হাড়োয়া, ন্যাজাট, সন্দেশখালি, বনগাঁ সহ আমডাঙ্গা, দেগঙ্গা, বারাসাত এক নম্বর ও দু নম্বর ব্লকের একরের পর একর জমি এখন জলের তলায়। ঝিঙে, পটল থেকে শুরু করে ফুলকপি, বাঁধাকপি থেকে ধান। সব ফসল ও শস্যের সবুজ শামিয়ানা ধীরে ধীরে হলদে হতে শুরু করেছে। পচন লেগেছে। কৃষি দপ্তর ব্যস্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাপ করতে। চাষির হৃদয়ে লাগা আগুন আপনি বেরিয়ে পরলো মুখ থেকে।
কৃষি দফতরের সহযোগিতায় এই জেলার হাজার হাজার হেক্টর জমিতে অসময়ের সবজি চাষে দুটো বাড়তি পয়সার মুখ দেখতো এখানকার শয়ে শয়ে কৃষকরা। শেখ কৃষকের বাড়তি আশায় ছাই ফেলে দিল অকাল বর্ষণ।
আয়লা, আম্ফান থেকে ইয়াস সব ঝড়ঝাপটা সামাল দিয়ে যখন কৃষিক্ষেত্র বাঁচিয়ে রেখেছে রাজ্যের অর্থনীতিকে সেখানে আবার কাটলো হতাশার ছায়া। যদিও কৃষি দপ্তর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাপ করতে শুরু করেছেন।
কিন্তু কৃষি দপ্তরের আশ্বাসে আর অতটা ভরসা রাখতে পারছেন না অনন্ত মন্ডল, অভি রায়ের মতো ভাগ্যের হাতে মার খাওয়া চাষিরা। সরকারি সাহায্যের কথা প্রশ্ন করতে হেসেই কষ্ট জানান দিলেন আমডাঙার অনন্ত মন্ডলের মতো চাষীরা।
জেলার অধিকাংশ চাষের ক্ষেতগুলি বিশেষ করে সবজি ক্ষেতগুলি জলের তলায় থাকায় কলকাতাসহ জেলার বিভিন্ন বাজারে ইতিমধ্যেই টান পড়তে শুরু করেছে সবজির ভাঁড়ারে। সবজির ভাঁড়ারে টান পড়ার অর্থই মধ্যবিত্তের থলেতে টান পড়া। এখন কবে জল নামবে জমি থেকে সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন চাষি থেকে কৃষি দপ্তর সবাই।
অঙ্কিত মুখার্জি
উত্তর ২৪ পরগনা