Story
একজন চাষির আর্থিক ভিত তখনি মজবুত হয় যখন সেই চাষি শুধু ধরাবাঁধা সাধারণ চাষই নয়। বরং পতিত জমিতে অন্যান্য চাষ করেও সাফল্যের মুখ দেখেন। আর এই বিষয়ে একজন মডেল হয়ে উঠেছেন বর্ধমানের কৃষক শেখ ফজলুল হক। আর এই বিষয়ে তাঁকে নিরন্তর সাহায্য করে গিয়েছে কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র। কৃষি বিজ্ঞানীদের পরামর্শে তিনি আয় করছেন দ্বিগুণেরও বেশি।
বর্ধমানের উচ্চগ্রামের কৃষক শেখ ফজলুল হক। তিনি একদিকে যেমন পোলট্রি খামার করেছেন। তেমনি পতিত জমিতে চাষ করছেন দেশি মুরগি, হাঁস, ছাগল। আবার প্রযুক্তিবিদদের সহায়তায় একদিকে যেমন করেছেন জি-নাইন কলা চাষ তেমন পুকুরে চাষ করছেন মাগুর, সিঙ্গির মত দেশি মাছ। আর এখান থেকে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করে তিনি এখন যথেষ্ট লাভবান হচ্ছেন।
কিন্তু কেন এই মিশ্র চাষের ভাবনা? সেই বিষয়েও বিস্তারিত জানালেন শেখ ফজলুল হক।
চাষির অর্থনৈতিক ভিত যাতে আরো মজবুত হয়, সেই জন্য যথেষ্ট তৎপর কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র। তাই প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞানসম্মতভাবে একজন কৃষক কিকরে দ্বিগুণ আয় করতে পারেন সেদিকে খেয়াল রাখছেন কৃষিবিজ্ঞানীরা।
বর্তমানে শেখ ফজলুল হক যেভাবে নিজের চাষ পদ্ধতিকে অন্য মাত্রা দিয়েছেন তা গ্রামের অন্যান্য কৃষকের দৃষ্টিও আকর্ষণ করেছে।
কৃষি বিজ্ঞানীদের পরামর্শ মেনে চাষ করে শেখ ফজলুল হকের আয় যে বৃদ্ধি পেয়েছে সে কথা নিজেই জানালেন তিনি।
পড়ে থাকা জমি আর শুধু পড়েই থাকবে না। বরং সেখানেও চাষাবাদ করে একজন কৃষক ভালোভাবে নিজের আয় বাড়াতে পারবেন। তারজন্য প্রয়োজন সঠিক গাইডলাইন। সঠিক দিশা। আর কৃষকদের সাহায্য করতে কোনরকম কার্পণ্য করেনা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র। আর বিজ্ঞানীদের পরামর্শ পেয়ে যথেষ্ট লাভবান হয়েছেন বর্ধমানের উচ্চগ্রামের কৃষক শেখ ফজলুল হক।
মানিক দাস
বর্ধমান