Daily

অপকথায় মদত থেকে বিদ্বেষ ছড়ানো, একের পর অভিযোগে বিধ্বস্ত ফেসবুক আর ইন্সাটাগ্রাম। আর এবার তামাক আইন লঙ্ঘন করে ফের শিরনামে এই দুই সংস্থা। পরোক্ষভাবে তামাকজাত দ্রব্য তৈরি করতে সাহায্য করছে ফেসবুক। এখন ফেসবুক মাতছে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপনে। ফলে বাড়ছে বিড়ি বিক্রি।
ফেসবুকের সহযোগীতা নিয়ে একদল বিড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা বিক্রি বাড়াচ্ছে। তাই বিজ্ঞাপনের ভিড়ে এখন ব্যাস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। ক্রেতাদের সরাসরি কিনতে বাধ্য না করলেও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সংস্থার পরিচিতি তৈরি করছে ক্রেতাদের মধ্যে। সাধারণত ফেসবুক বা ইন্সটাগ্রামে তামাকজাত পণ্যের বিক্রি বা বিজ্ঞাপন কোনটাই করা যায় না। কিন্তু রিপোর্ট বলছে, গত ২০২০ থেকে ২০২১ এর অগাস্ট পর্যন্ত ২৭১ টি ক্ষেত্রে সরাসরি বিড়ির বিজ্ঞাপন আর ৭৩ টি ক্ষেত্রে পরোক্ষভাবে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি সংস্থার বিড়ি বিক্রি বাড়িয়েছে তারা। যা ফেসবুকের নিয়ম বিরুদ্ধ।
সমীক্ষা বলছে ভারতের প্রায় ২৭ কোটি ধূমপায়ী মানুষের মধ্যে ৭ কোটিই বিড়ি খান। তবে সংখ্যাটা খাতায় কলমে কম হলেও বিড়ির বিক্রি বেশি। সিগারেটের তুলনায় বিড়ি বিক্রি হয় প্রায় ৮ গুন বেশি হারে। বিক্রি হচ্ছে ফেসবুকের মাধ্যমেও। মজার ইমেজ তৈরি করে অথবা শুভেচ্ছাবার্তার মাধ্যমে চলছে প্রচার। বাড়ছে বিক্রি। যদিও ফেসবুকের তুলনায় ইন্সটাগ্রামে এর হার কিছুটা কম।
ব্যুরো রিপোর্ট