Market

চরম সমস্যার মধ্যে পড়ে দিন কাটাচ্ছেন খাদি শিল্পীরা। এমনিতেই লকডাউনের জের, তার ওপর আয়ের পথ একেবারে বন্ধ। ফলে তীব্র অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে খাদি শিল্পীদের। আর এই পরিস্থিতিতে কিছুটা স্বস্তি দিতে শনিবারই অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পমন্ত্রক জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রায় ৪৫ কোটি টাকার অর্ডারের বরাত দিয়েছে দুটি মন্ত্রক এবং একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। যা খাদি শিল্পীদের সামান্য হলেও সুরাহা দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, মাত্র ৪৫ কোটি টাকায় কি আদৌ খাদি শিল্পীদের সমস্যা মিটবে?
এমএসএমই-র আওতাভুক্ত খাদি অ্যান্ড ভিলেজ ইন্ডাস্ট্রিজ কমিশনের কাছে আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রকের অর্ডার মূল্য ২০ কোটি ৬০ লক্ষ্য টাকা। মূলত আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের জন্য পলি খাদি ফ্যাব্রিকের বরাত দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, রাজস্থান এবং হরিয়ানার বিভিন্ন খাদি প্রতিষ্ঠানের কাছে সেই অর্ডার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও রেল মন্ত্রক অর্ডার দিয়েছে সাড়ে ১৯ কোটি টাকার। সেখানে তোয়ালে, বেড শিট, ফ্ল্যাগ ব্যানার, স্পঞ্জ ক্লথসের মত জিনিসের অর্ডার দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এয়ার ইন্ডিয়ার অর্ডার মূল্যের পরিমাণ ৪ কোটি টাকার একটু বেশি। অর্ডার দেওয়া হয়েছে খাদি হ্যান্ড স্যানিটাইজার, খাদি ময়েশ্চারাইজার লোশন, খাদি হ্যান্ডমেড সাবান, খাদি লিপ বাম এবং খাদি রোজ ফেস ওয়াশ ইত্যাদি।
সূত্রের খবর, এই অর্ডারগুলি সংশ্লিষ্ট খাদি শিল্পীদের আয়ের পথ আরও মসৃণ করবে। করোনা পরিস্থিতি এমনিতেই খাদি শিল্পীদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। কিন্তু পরিস্থিতি সামলানোর জন্য এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে খাদি শিল্পীদের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা নেবে।
ব্যুরো রিপোর্ট