Market

দেউলিয়া হওয়ার মুখে চিনের অন্যতম বৃহৎ আবাসন সংস্থা এভারগ্রান্ড। মাথার ওপর বাড়ছে ঋণের বোঝা। এদিকে করোনার জেরে বিশ্ব অর্থনীতিতে ব্যাপক সংকোচন। যার প্রভাব পড়েছে এই সংস্থার শেয়ারে। এরপর একের পর এক ধাক্কা খেতে খেতে বর্তমানে এভারগ্রান্ড দাঁড়িয়েছে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে।
গত জুন মাসের হিসেব বলছে, এই সংস্থার বকেয়া দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩১ হাজার কোটি ডলার। এদিকে সংস্থার শেয়ারদর এক ধাক্কায় নেমে এসেছে ৮৫ শতাংশের কাছাকাছি। এই বিপুল অঙ্কের বকেয়া কিভাবে মেটানো সম্ভব হবে এখন সেটাই সবচেয়ে বেশি চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এভারগ্রান্ড চিফ শু জিয়াইনের। এই সংস্থায় কর্মীসংখ্যা ২ লক্ষাধিক। ২৮০টি শহরে প্রায় ১৩০০টি প্রকল্পের ওপর কাজ করছে এভারগ্রান্ড। কিন্তু শেয়ারের দর একেবারে নিচের দিকে নামতে শুরু করায় এখন কার্যত এভারগ্রান্ডের অবস্থা দাঁড়িয়েছে শ্যাম রাখি না কুল রাখি।
উল্লেখ্য, এভারগ্রান্ডের এই ব্যাপক পতন বিশ্ববাজারে তেমন একটা প্রভাব ফেলবে না বলেই মনে করছেন আর্থিক বিশ্লেষকরা। তার অন্যতম প্রধান কারণ এই সংস্থার ২১,৫০০ কোটি ডলারের বিভিন্ন জমি এবং প্রকল্প এখনও রয়েছে। যা বিপদের সময় সংস্থাকে কিছুটা হলেও টেনে তুলতে সাহায্য করবে। এছাড়া রয়েছে চিন সরকার। ২০১৭ সালে চিনের অন্যতম ধনী ব্যবসায়ী হন শু জিয়াইন। কিন্তু সংস্থার এই ভরাডুবি কার্যত হোঁচট দিয়েছে শু এর ব্যবসায়িক উন্নতিতে। এবার সেই কারণেই নিজের ব্র্যান্ড হারাতে বসেছে এভারগ্রান্ড। এখন দেখার, চিন সরকার আদৌ এভারগ্রান্ডকে ভরাডুবির হাত থেকে রক্ষা করতে কোন রণসাজে উপস্থিত হয় ময়দানে।
ব্যুরো রিপোর্ট