Trending
বছরে ৭ কোটি ইনকাম করছেন রোহিত শর্মা। আর স্মৃতি মান্ধানের বেলায় ৫০ লাখ কেন? একই যাত্রায় পৃথক ফল? এমন আবার হয় নাকি? পরিশ্রম সমান। পারিশ্রমিক কেন নয়? আচ্ছা এই প্রশ্নটা আপনাদের মনে কখনও তৈরি হয়নি? বিসিসিআই সচিব জয় শাহের একটা টুইট। জাস্ট একটা টুইট, যেখানে লেখা হয়েছে যে এবার থেকে মেল এবং ফিমেল ক্রিকেটাররা সমান বেতন পাবেন। বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ প্রত্যেক প্লেয়াররাই এই নিয়মের আওতায় থাকছেন। আর এর হাত ধরে ক্রিকেটের ইতিহাসে এক লিঙ্গ সাম্যের যুগের সূচনা হতে চলেছে। আপাতদৃষ্টিতে এটা একটা বড় বিষয় মনে হলেও, আসলে it’s just a baby-fame।
বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এবার থেকে ফিমেল ক্রিকেটাররা বেতন পাবেন।
টেস্ট ১৫ লাখ
ওয়ান ডে ৬ লাখ
টি২০ ৪ লাখ
আর এই সিদ্ধান্ত সামনে আসা মাত্রই খুশির জোয়ারে ভেসে যায় সোশ্যাল মিডিয়া। ইন্ডিয়া ফিমেল টিমের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন স্মৃতি মান্ধান থেকে বর্তমান ক্যাপ্টেন হরমনপ্রিত কৌর, ঝুলন গোস্বামী, সচিন তেন্ডুলকর, শাহরুখ খান, অনুস্কা শর্মা, তাপসী পান্নু কে নেই সেই লিস্টে? #proudmomentforindia, #greatdecisionbcci আরও কত হ্যাশট্যাগ…
আজকের দিনে দাঁড়িয়ে যেখানে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে, নারী-পুরুষ লিঙ্গবৈষম্য নিয়ে এত তর্জন গর্জন চলে, সেখানে এত ভালো একটা খবর পেলে ভালো লাগাটাই সমীচীন। ফিমেল ক্রিকেটাররা এবার থেকে টেস্ট ম্যাচের জন্য বেতন পাবেন ১৫ লাখ, গ্রেট! ফর ইয়োর ইনফরমেশন, গত ৮ বছরে ইন্ডিয়ান উইমেন ক্রিকেট টিম টেস্ট ম্যাচ খেলেছে মাত্র দুটো। আই রিপিট। আট বছরে মাত্র ২ তো ম্যাচ। যেখানে টেস্ট ম্যাচ খেলার মত টিমই গঠন করা নেই, সেখানে বেতনে ঘোষণা কতটা প্রাসঙ্গিক?
বিসিসিআই ইন্ডিয়ান ক্রিকেট প্লেয়ারদের তিনটে পার্টে বেতন দেয়
ম্যাচ ফি
সেন্ট্রাল কন্ট্রাক্ট
অ্যানুয়াল রেভিনিউয়ের শেয়ার
ম্যাচ ফি তো এখন চেঞ্জ হয়ে গিয়েছে। আর সেন্ট্রাল কন্ট্রাক্ট মানে যেকোনো প্লেয়ার যারা বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ রয়েছে তারা প্রত্যকেই বেতন পাবেন। কোন কারণে ম্যাচ খেলতে না পারলেও পাবেন, আবার ইঞ্জিউরড থাকলেও পাবেন। আর এই ক্যাটেগরি অনুযায়ী, ইন্ডিয়ান মেল ক্রিকেট টিমের গ্রেড ১ প্লেয়ার পান ৭ কোটি টাকা, আর ফিমেল টিমের গ্রেড ১ প্লেয়ার পান ৫০ লাখ টাকা। গ্রেড ৩ মেল প্লেয়ার পান ১ কোটি টাকা, গ্রেড সি ফিমেল প্লেয়ার পান ১০ লাখ টাকা। মানে ইন্ডিয়ান উইমেন টিমের ক্যাপ্টেন হরমনপ্রিত কৌরের বেতন ৫০ লাখ, আর মেল টিমের ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মার বেতন ৭ কোটি। ইজ দ্যাট পে ইক্যুয়ালিটি?
এছাড়াও ইন্টারন্যাশনাল প্লেয়াররা কিন্তু ক্রিকেটের অ্যানুয়াল শেয়ার থেকেও একটা বড় অঙ্কের টাকা স্যালারি হিসেবে পান। ২০১৯ সালে এজিএমে বিসিসিআই ট্রেজারার অরুন ধুমাল জানিয়েছিলেন যে সেবছর নাকি ৯৬২৯ কোটি টাকা ছিল তাদের ফাণ্ডে। এবং সেই টাকার একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ শেয়ার ইন্ডিয়া টিমের প্রত্যেক প্লেয়ারদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল।
ডিস্ট্রিবিউশনটা খানিকটা এরকম ছিল-
১৩% পেয়েছিলেন ইন্ডিয়ান ইন্তারন্যাশনাল মেনস ক্রিকেট টিম
১০.৩% পেয়েছিলেন ইন্ডিয়ান ডোমেস্টিক মেল ক্রিকেটার
২.৭% ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল ইন্ডিয়ান জুনিয়র ক্রিকেটার এবং ইন্ডিয়ান ইন্তারন্যাশানাল উইমেন ক্রিকেটারদের মধ্যে
ইজ দ্যাট পে ইক্যুয়ালিটি?
তো ইন ফিউচার কখনও যদি শাহরুখ খান বা সচিন তেন্ডুলকর করা টুইট দেখে আপনি থমকে যান, যে বিসিসিআই এর এই সিদ্ধান্ত একটা দুর্দান্ত সিদ্ধান্ত, তো সেক্ষেত্রে আপনাকে জানিয়ে রাখি যে, এর আগে এই একই ডিসিশন নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। গত জুলাই মাসে। বিশ্বের সবচেয়ে পাওয়ারফুল ক্রিকেট বোর্ড হয়ে এত বড় একটা ডিসিশন নিতে এত লেট হল, এটাই তো সবচেয়ে আশ্চর্যের। বিশ্বের এই ধনী ক্রিকেট বোর্ড হিসেবে যদি ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে আরও কোন পরিবর্তন আনার কথা ভেবে থাকা বিসিসিআই, তাহলে ইটস হাই টাইম, they has to start it here.
বিজেনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ