Market

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লেও কেন্দ্রের বার্তা ছিল চাঙ্গা রয়েছে অর্থনীতি। বেড়েছে কর্মসংস্থান। সেই রিপোর্ট অর্থমন্ত্রকের তরফে প্রকাশও করা হয়েছিল। ছন্দে ফেরার লক্ষণ সর্বত্র স্পষ্ট থাকলেও সম্প্রতি শ্রমমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবের পেশ করা একটি রিপোর্ট কেন্দ্রকে অস্বস্তিতে ফেলে দিলই বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
কৃষিক্ষেত্র বাদ দিয়ে অন্যান্য নটি ক্ষেত্রে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩.১০ কোটি মানুষ জড়িয়ে ছিলেন। এই অঙ্কটা তার আগের তিন মাসের চেয়ে বেশি মাত্র ২ লক্ষ। শতাংশের হিসেবে ০.৬%। সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, দেশে কর্মসংস্থান বাড়লেও সংশ্লিষ্ট মহল দাবি করছে, কর্মসংস্থানে কেন্দ্র ধীরে চলো নীতি নিয়েছিল। সাত বছরে কাজের সংখ্যা দেশে বৃদ্ধি পেয়েছে মাত্র ৭৩ লক্ষ। এদিকে ডিসেম্বরে বেকারত্ব বেড়েছে অনেকটাই। শিয়রে তৃতীয় ঢেউ। এই অবস্থাতে কেন্দ্র সকল ঝুঁকি এড়িয়ে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করলেও ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
বিরোধীদের অভিযোগ, মোদী সরকার আসার পর দেশের অর্থনীতির সূচক নিচের দিকেই থেকেছে। করোনার সংক্রমন যে হারে ছড়িয়ে পড়ছে তাতে আবারো যদি তা আর্থিক বিকাশের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, বেকারত্বের হার যদি আরও বৃদ্ধি পায় তাহলে মুখ পুড়বে কেন্দ্রের। যদিও কেন্দ্র বলে আসছে, করোনার দুটো ধাক্কা সামলে দেশের অর্থনীতিকে সোজা রাখাটাই সেই সময় ছিল চ্যালেঞ্জ। তাই করোনা আবহেও যে কর্মসংস্থানে বৃদ্ধি এসেছে সেটাই আর্থিক অবস্থা সচল রাখার জলজ্যান্ত প্রমাণ।
ব্যুরো রিপোর্ট