Market

কর্মনাশা নয় বরং কর্মমুখী বাংলা। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বেকারত্বকে হটিয়ে দিতে যা বদ্ধপরিকর। গত আর্থিক বছরে বাংলায় প্রায় ৩ লক্ষ বেকার যুবক যুবতী চাকরি পেয়েছেন। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে যা নিঃসন্দেহে আশাপ্রদ।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বাংলা দখল করার জন্য বেকারত্বকে তাঁদের অন্যতম প্রধান লক্ষ করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি একেবারে অন্য। বিজেপিকে মোক্ষম জবাব দিতে পেরেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ২০২০-২১ অর্থবর্ষের বেকারত্বের হার নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন নীতি আয়োগ। সেখানে দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে বিজেপি শাসিত বেশ কয়েকটি রাজ্য। রিপোর্ট অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের বেকারত্বের হার যেখানে ৪.১ শতাংশ। সেখানে বিজেপি শাসিত হিমাচল প্রদেশে বেকারত্বের হার ৫.৮ শতাংশ, অরুণাচল প্রদেশে ৭.৭শতাংশ, মণিপুরে ১০.১ শতাংশ, অসমে ৭.১ শতাংশ, ত্রিপুরায় ১০.৫ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশে ৬.২ শতাংশ। এমনকি বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ডে বেকারত্বের হার পৌঁছেছে ৯.৫ শতাংশে। হরিয়ানায় ৯.৮ শতাংশ, বিহারে ১০.৬ শতাংশ, মিজোরামে ৭.৩ শতাংশ, নাগাল্যান্ডে ১৮.৫ শতাংশ, পুদুচেরিতে ১৮.৫ শতাংশ এবং গোয়ায় ৯.৪ শতাংশ। অন্যদিকে বিজেপি শাসিত যে যে রাজ্যগুলি পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে আছে তার মধ্যে অন্যতম গুজরাত ৩.৪ শতাংশ, কর্ণাটক ৩.৯ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশ ৩.৭ শতাংশ, সিকিম ৩.৩ শতাংশ এবং মেঘালয় ২.৮ শতাংশ।
চার মাসের মধ্যে এপ্রিলে দেশে বেকারত্ব ছিল রীতিমত ভয় ধরিয়ে দেওয়ার মত। মে মাসে যা কার্যত দ্বিগুণ হয়ে যায়। অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি অনুযায়ী গত বছরে লক্ষ লক্ষ মানুষ হারিয়েছিলেন কাজ। দেশের অর্থনীতিতে জোড় ধাক্কা লাগে। বহু মানুষের জমানো পুঁজি তলানিতে এসে পৌঁছায়। কিন্তু এতকিছুর মধ্যেও বাংলা যে নিজেকে ধরে রাখার চেষ্টা করেছে তা অবশ্যই বাংলাকে কর্মহীনতার থেকে অনেকটাই বার করে আনতে পেরেছে।
ব্যুরো রিপোর্ট