Daily

ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড আমাদের জীবনের সাথে এমনভাবে জড়িয়ে গিয়েছে, যে কোনটা বাস্তব আর কোনটা পরা বাস্তব, সেটা পার্থক্য করাই মুশকিল। এখন মেসেজিংয়ে মত্ত ছাত্র-ছাত্রী, তরুণ-তরুণী, ৮-৮০ — সকলেই।
ধরুন! বন্ধু বা বান্ধবীর সাথে কথা হচ্ছে আপনার। আপনি বোঝাতে চাইছেন এক আর ওপারের মানুষ বুঝছে আরেক। কি ফ্যাসাদে পড়া গেল বলুনতো! শব্দের সাপ-লুডোতে না হয় আপনি হারলেন। চিন্তা কি? ইমোজিরা তো রয়েছে। এক ক্লিকেই কেল্লা ফতে!
আমাদের মন বা ভাবনার চেয়েও অনেক বেশি সচল এখন আমাদের আঙুল। যার মায়াবী ছোঁয়াতে মুঠোফোনের স্ক্রিনে ভেসে ওঠে সুখ, দুঃখ, হাসি কান্নার নানান রূপ। এখন শব্দও যেন খানিকটা বঞ্চিত। বলা ভালো- ব্যাকডেটেড। মনের ভাব বা আইডিয়া প্রকাশ পায় যে ছোট্ট ডিজিটাল ইমেজ বা আইকনে, তারাই হলেন আমাদের পরম প্রিয় ইমোজি বা ইমোটিকন। না বলা অনেক কথা বলে দিয়ে যায় তারা। অনেকে তো আবার মেসেজের সাথে একটা ইমোজি না জুড়লে কথাখানা সম্পূর্ণই হয়নি বলে মনে করেন।
আদিম যুগের প্রস্তরচিত্র বলুন আর মিশরের হায়ারোগ্লিফিক, সেই প্রাচীনকাল থেকেই নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিয়ে আসছে এই ইমোজি। কমিউনিকেশন মিডিয়াম যেমন দিন দিন বদলে যায়, স্মার্ট হয়– ইমোজি হলো সেই স্মার্টনেস বা আপডেটেড ভার্শন অফ কমিউনিকেশন। আজ ‘ওয়ার্ল্ড ইমোজি ডে’। তবে শুধুমাত্র আজ নয়, প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে ইমোজিরা জানান দেয়, তাদের প্রতিপত্তি নেটিজেনদের মধ্যে ঠিক কতটা।
ব্যুরো রিপোর্ট