Daily

করোনা আর তার সঙ্ক্রমণের জেরে বেড়েছে ডিজিটাল নির্ভর জীবন যাপনের অভ্যাস। আর ডিজিটাল যন্ত্রপাতির ব্যবহারের জেরে বেড়েছে বৈদ্যুতিক বর্জ্যের পরিমাণ। এই বৈদ্যুতিক বর্জ্যই এখন ব্যবসার দিশা দেখাচ্ছে।
বৈদ্যুতিক বর্জ্যের বাজারকে পাখির চোখ করে ব্যবসার প্ল্যান করছে কলকাতার হুলাডেক। বৈদ্যুতিক বর্জ্য উৎপাদনে ভারত তৃতীয় স্থানে থাকলেও তা পুর্নব্যবহার করার মত ব্যবসায়িক ক্ষেত্র রয়েছে মাত্র ৫%। তবে আগামী তিন- চার বছরের মধ্যে তা পৌঁছে যাবে ১০-১৫%-এ। এমনটাই মনে করছেন হুলাডেকের বিশেষজ্ঞরা। বিভিন্ন যন্ত্র উৎপাদনকারী সংস্থা বা বাড়ি, কমপ্লেক্স থেকে ইলেকট্রিক বর্জ্য জোগাড় করে সেগুলো পুর্নব্যবহার করার জন্য সংগ্রহ করে কলকাতার এই সংস্থা।
তাদের পরিসংখ্যান বলছে, গোটা ২০২০ সাল জুড়ে মোট ৩২ লক্ষ টন বৈদ্যুতিক বর্জ্য উৎপন্ন হয়েছে ভারতে। যার মূল্য ১৬০০ কোটি টাকা। তবে এই বর্জ্য জোগাড় করে তা পুর্নব্যাবহার করার যে বাজার রয়েছে তার সিংহভাগ মালিকানা রয়েছে অসংগঠিত ক্ষেত্রের হাতে। তারা যেভাবে এসব বর্জ্যের পুর্নব্যবহার করে, তাতে পরিবেশের ক্ষতি হতে পারে। কিছু বর্জ্য অবশ্য জমি ভরাটের কাজেও ব্যবহার হয়। তবে নিয়ম মেনে তা না হলে পরিবেশ দূষণ ঘটতে পারে।
গত পাঁচ বছর ধরে ২০ হাজার টন ওয়েস্ট সংগ্রহ করেছে এই সংস্থা। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে সেই বর্জ্যের পরিমাণ ৫০ হাজার টনে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে তারা। তবে সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে গেলে আখেরে লাভ হবে বাংলার ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেরই।
ব্যুরো রিপোর্ট