Trending
শনিবার রাজ্যে চারটি কেন্দ্রে বিধানসভা উপনির্বাচন। দিনহাটা, খড়দহ, গোসাবা সহ শান্তিপুরে চলছে শেষ পর্যায়ের ঝোড়ো প্রচার। এর মধ্যে সবচেয়ে নজরকাড়া কেন্দ্র হচ্ছে শান্তিপুর। শান্তিপুরের ঐতিহ্য রাজ্যের যে দলই শাসন ক্ষমতায় থাকে তার বিরোধী দল থাকে শান্তিপুরের ক্ষমতায়। এইবার সেই ঐতিহ্যে পরিবর্তন আনতে পারবে কি তৃণমূল? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। শান্তিপুরকে নিজের ক্ষমতায় রাখার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে শাসকদল। শান্তিপুরের বিধানসভা উপনির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বরা। এমনকি দাপুটে সাংসদ মহুয়া মৈত্র পর্যন্ত। শান্তিপুর পৌরসভার চব্বিশটা ওয়ার্ড এবং ছটা শান্তিপুর ব্লকের পঞ্চায়েত নিয়ে এই বিধানসভা যেখানে হতে চলেছে হাড্ডাহাড্ডি চতুর্মুখী লড়াই।
এবারে তৃণমূল ভরসা রেখেছে শান্তিপুরের ভূমিপুত্র ব্রজ কিশোর গোস্বামীর উপর। যিনি শান্তিপুরের বৈষ্ণব খ্যাত বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী পরিবারের সদস্য। তৃণমূলের ঝাণ্ডা হাতে নিয়ে তিনি মানুষের কাছে তুলে ধরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে। তাই তৃণমূলের জয় নিয়ে তিনি খুব একটা চিন্তিত নন।
একদিকে যখন তৃণমূল প্রচার অভিযানে কার্যত নেমে পড়েছে ময়দানে তখন পিছিয়ে নেই রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। গত ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে এই শান্তিপুরে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তারপর অবশ্য বিধানসভা পদ থেকে তিনি ইস্তফা দেন। তবুও শান্তিপুরে গত নির্বাচনী জয় বিজেপিকে অনেকটাই মানসিকভাবে এগিয়ে রেখেছে। তাই শান্তিপুরের জমি যাতে হাতছাড়া না হয় তার জন্য বিজেপির হয়ে ভোট ময়দানে নামছেন দীর্ঘদিনের রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক থেকে উঠে আসা বিজেপির বর্তমান রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জন বিশ্বাস। ঝোড়ো প্রচার চালাচ্ছেন তিনিও।
গত বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম-কংগ্রেস একসঙ্গে লড়াই করলেও এবারে দুই দলই আলাদা আলাদা প্রার্থী দিয়েছেন জয়লাভের আশায়। শান্তিপুরে সিপিএমের হয়ে দাঁড়িয়েছেন দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর সৌমেন মাহাতো এবং কংগ্রেস থেকে রাজু পাল। প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় পৌঁছে মানুষের সমস্যার কথা তুলে ধরে আস্থা ফিরে পাবার আশায় প্রচার সারছে এই দুটি দল।
একদিকে যখন প্রত্যেকটি দল মানুষের আরো কাছাকাছি পৌঁছনোর চেষ্টা করছে তখন শান্তিপুরের বিধানসভার উপনির্বাচন নিয়ে সেখানকার মানুষরা কী বললেন শুনে নেওয়া যাক।
গত বিধানসভা নির্বাচনে শান্তিপুর থেকে ১৬ হাজার ভোটে জয়লাভ করে বিজেপি। রাজনৈতিক আবহাওয়া সরগরম থাকলেও প্রত্যেকটি দল তাদের উচ্চতর নেতৃত্বকে নিয়ে এসে প্রচার সারছে। সাধারণ মানুষও চাইছেন ভোট যুদ্ধের উত্তাপ শুধু ব্যালট বক্সেই সীমাবদ্ধ থাকুক। মানুষের স্বার্থে শান্তিপুরে নির্বাচন হোক শান্তিপূর্ণভাবে। তবে শেষ হাসি কে হাসেন, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২ নভেম্বর পর্যন্ত।
রনি চ্যাটার্জী
নদীয়া