Daily

প্রথমে ছিল তোলাবাজি, সঙ্গে যুক্ত হল আর্থিক তছরুপের মত অভিযোগ। আর যে কারণে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাল ইডি। সূত্রের খবর, অনিল দেশমুখের নাগপুরের বাড়িতেই এই অভিযান চালিয়েছেন ইডি অফিসারেরা। তবে এটাই প্রথম নয়। এর আগেও সিবিআইয়ের তরফে তোলাবাজি কাণ্ডে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুম্বই এবং নাগপুরের দুটি বাড়ি সহ মোট চার জায়গায় অভিযান চালিয়েছে ইডি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মুকেশ অম্বানীর বাড়ির সামনে থেকে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি উদ্ধার হওয়ার পর মুম্বই পুলিশ মহলে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মার্চ মাসে তৎকালীন পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিংকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয় হেমন্ত নাগরালেকে। তারপরেই প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার একটি ছয় পাতার চিঠি দেন। যেখানে বলা হয়েছে মুম্বই শহরের ১৬০০ টি বার এবং রেস্তোরাঁ চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখান থেকে প্রতি মাসে অম্বানীকাণ্ডে ধৃত পুলিশ অফিসার সচিন ভাজে এবং এসিপি সঞ্জয় পাতিলকে প্রতি মাসে ১০০ কোটি টাকা তোলাবাজির লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়।
প্রথম থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে এই লক্ষ্যমাত্রার অভিযোগ উঠলেও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। কিন্তু গোটা বিষয়টি পৌঁছে যায় দেশের শীর্ষ আদালত এবং বোম্বে হাইকোর্টেও। দিল্লি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত সিবিআইকে অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্তের নির্দেশ দেন এবং তারপরেই ইডির তরফ থেকে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ এনে শুরু হয় তদন্ত। ওদিকে সিবিআই দায়ের করে এফআইআর। যদিও এই ঘটনার সূত্র ধরেই ৫ এপ্রিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন প্রাক্তন মন্ত্রী অনিল দেশমুখ।
ব্যুরো রিপোর্ট