Daily
করোনা অনেক কিছু শিখিয়ে গেল। দিয়ে গেল অনেক কিছু। আবার নিয়েও গেলো অনেক কিছু। আসলে সময়ের দাবিতে পরিবর্তিত হতে হতে বদলে গেল করোনাকালে মানুষের জীবন-জীবিকা। বদলে গেল অর্থনীতির পরিকাঠামো।
যেমন বদলে যাচ্ছে বাংলা বর্ণমালার অক্ষরগুলো। এখন আর অ অজগর নয়। বরং অ-এ এখন অর্থনীতি। ক-এ কাপড় কিংবা কলা নয়। বরং ক-এ এখন করোনা।
করোনাকালে মানুষের জীবনে এখন অ-এ অর্থনীতি আসছে তেড়ে, মানুষ সব ভয়ে মরে।
বিশ্বব্যাপী মরণব্যাধিতে মরে গিয়েছে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। বলা ভালো, মহাভারতের যুদ্ধে কর্ণের রথের চাকা যেমন বসে গেছিল ঠিক তেমনি বিশ্ব অর্থনীতির চাকাটাও বসে গেল করোনার থাবায়।
বাদ পড়েনি ভারতের মতো বিশাল জনসংখ্যার দেশও। দেশের আভ্যন্তরীণ মোট উৎপাদন নেতিবাচক দিকে গড়াতে গড়াতে একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। আভ্যন্তরীণ উৎপাদন কমার অর্থ দেশে বৃদ্ধির রথটাই দাঁড়িয়ে রয়েছে করোনার রেডসিগনালে। এই করোনাকালে অ-এ অর্থনীতিতে শুনেই মানুষরা সব ভয়ে মরে।
ভারতের মানুষদের ভয়টা ধরেছিল ১৯৯১ সালে মনমোহন সিংহের জামানা থেকে। সেই যে অর্থনীতির কৌটোর মুখটা খোলা হল সেই থেকে আজ পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদী জমানায় সেই কৌটোর খোলা মুখ দিয়ে মেক ইন ইন্ডিয়া নামে চালু হলো একের পর এক সেল ইন ইন্ডিয়া প্রকল্প। এমনটাই অভিযোগ করছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ। তাই ভারতে করোনা কালে অ-এ অর্থনীতি আসছে তেড়ে, মানুষরা সব ভয়ে মরে এটাই তো স্বাভাবিক।
পরিসংখ্যান বলছে করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ মিলিয়ে কমপক্ষে কাজ হারিয়েছে প্রায় দুই কোটিরও বেশী মানুষ। বন্ধ হয়ে গিয়েছে শয়ে শয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প। অর্থনীতি পালের হওয়াটাই কেড়ে নিয়েছে করোনা। মানুষের হাতে কাজ নেই। নেই নগদের জোগান। এই সরকারই পরিত্রাণ। আছে শুধুই প্রকল্পের মাধ্যমে কিছুটা সুরাহার ব্যবস্থা।
কল্যাণকর অর্থনীতি ব্যবস্থায় অর্থনীতিকে মানুষ ভয় পেলে মানুষ তো মরবেই। নীতি আর অর্থনীতি এই দুটোই হলো মানুষের জিয়ন কাঠি। সেই জিয়ন কাঠিতে আজ জাদুকরের বড় অভাব। ভাবছি কবে মিটবে, কবে আবার বাচ্চারা বলবে অ-এঅজগর আসছে তেড়ে।
ব্যুরো রিপোর্ট, বিজনেস প্রাইম নিউজ।