Daily

গরমের প্রকোপ ক্রমশই বাড়ছে ভারতে। বেশ কিছু জায়গায় পারদ রেকর্ড তাপমাত্রা ছুঁয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম দিল্লি। সেখানে তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছে ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গ্রীষ্মের এই মেজাজ যদি একভাবে বজায় থাকে তাহলে ভারতের অর্থনীতির জন্য সেটাই হতে পারে বড়সড় চিন্তার বিষয়। বেশ কিছু মূল্যায়ন সংস্থা জানাচ্ছে, গরমে ধাক্কা লাগতে পারে উৎপাদনে। হোঁচট খেতে পারে ফলন। ব্যহত হতে পারে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি।
জানা গিয়েছে, দিল্লিতে তাপমাত্রার পারদ চড়ার কারণে ভালোরকম ধাক্কা খেতে পারে গমের উৎপাদন। একইসঙ্গে উৎপাদনের অভাব তৈরি হওয়ার কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে কয়লার অভাব। বিদ্যুতের ঘাটতি যদি তৈরি হয় সেই প্রভাব সরাসরি এসে পড়তে পারে কৃষিকাজের সঙ্গে শিল্পক্ষেত্রের উপরেও। যা দেশের ইকোনমিক গ্রোথকে আটকে দিতে পারে ভালোরকম। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কিভাবে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির চাকা সচল রাখা সক্ষম? এই বিষয়ে দৃষ্টিপাত করেছেন আইএমএফের ফার্স্ট ডেপুটি এমডি গীতা গোপিনাথ। তাঁর মতে, করোনার চোখ রাঙানি কমে আসতে শুরু করায় ফের ছন্দে ফিরতে শুরু করেছিল ভারত। ক্রমশই দেশের সবকটি ক্ষেত্রে চাঙ্গা হওয়ার লক্ষণ স্পষ্ট হচ্ছিল। এমন একটি সময়ে আবারও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, কয়লার সংকটের কারণে ভারতের বৃদ্ধি বেশ কিছুটা ধাক্কা খেতে পারে।
মনে করা হচ্ছে, গরমের কারণে কৃষি এবং শিল্পে উৎপাদন ধাক্কা খেয়ে নামতে পারে ১ শতাংশেরও নিচে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে যথেষ্ট। তাই সুদের হার বাড়ানো নিয়ে অনেকটাই নিশ্চিত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। তবে তিনিও আশ্বাস দিয়েছেন যেভাবে দেশজুড়ে চাহিদা তৈরি হয়েছে, তাতে কৃষিক্ষেত্র এবং শিল্পক্ষেত্র ভালোরকম গতি পাবে। তবে কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি, বিদেশের সুদ বৃদ্ধির মত সমস্যাগুলিও আটকে দিতে পারে আর্থিক গতি।