Trending
নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধান… বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান… যে মিলনক্ষেত্র ব্যবসার কথা বলে, যে মিলন ক্ষেত্র আঞ্চলিক উন্নয়নের কথা বলে, যে মিলনক্ষেত্র ভবিষ্যৎ দর্শায়- সেই মিলনক্ষেত্র মহান তো বটেই। কেউ উড়িষ্যা থেকে তো কেউ দিল্লি থেকে। কেউ মুম্বাই থেকে তো কেউ আবার সুদূর গুজরাট থেকে স্ট্রেট কোলকাতা। আর এই হাজার হাজার মাইলের দুরত্বকে কাছে আনে ব্যবসা। তাই দুরত্বকে তোয়াক্কা না করেই একঝাঁক ব্যবসায়ীদের মিলন ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে খোদ কোলকাতা। ব্যবসার সঙ্গে যার সম্পর্ক প্রায় ২০০ বছরেরও বেশি পুরনো।
এদিনটাও অনান্য দিনের মতই। উজ্জ্বল-সুন্দর। শহর কোলকাতা তার আপন খেয়ালে, আপন মেজাজে ব্যস্ত। আর এরই মাঝে বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গণে বসল ব্যবসায়ীদের চাঁদের হাট। ইস্টার্ন সাইনেজের আমন্ত্রনে বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গন সেজে উঠলো স্থানীয় এবং ভিন রাজ্যের প্রিন্টিং এবং সাইনেজ ইন্ডাস্ট্রির বাঘা বাঘা ব্যবসায়ীদের উপস্থিতিতে। চলল কথোপকথন। অনুষ্ঠিত হল মেগা এক্সপো। প্রায় শতাধিক এক্সিবিটর এবং হাজার হাজার ভিসিটরের উপস্থিতি আরও একবার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, যে কোলকাতাবাসী চাইলে ঠিক কী হতে পারে? এক ছাতার তলায় উপস্থিত এতজন ব্যবসায়ী আরও একবার বুঝিয়ে দিল দিল্লি, মুম্বাই বা গুজরাটকে টেক্কা দিতে কলকাতাও কম যায় না।
কোলকাতায় স্টার্টআপের ঝড় উঠতে চলেছে। সেটা বোধ আগে থেকেই আঁচ করা গিয়েছিল। তাই ২০১৮ সাল নাগাদ আবারও প্রিন্টিং এবং সাইনেজ ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তা শুরু করে এক্সপো কর্তৃপক্ষ। তবে দিল্লি গুজরাটের থেকে কোলকাতা কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও লোকাল ব্যবসায়ীদের মধ্যে উৎসাহ মোটেই কম নয়। আর এই উৎসাহই আগামী দিনে একটা বিশাল বড় বিপ্লব আনতে চলেছে, বাংলার ব্যবসায়ী মহলে। তাই আর ভাবনা-চিন্তা নয়। এবার নতুন জেনারেশনের বাণিজ্যতরী ভাসানোর সময় এসেছে।
লক্ষ্য স্থির আর ভাবনাচিন্তা মিলে গেলে, একে অপরের সঙ্গে আলাপ করতে ইচ্ছে হয়। আর এই এক্সপো প্রাঙ্গন তার জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ। বিশেষত প্রিন্টিং এবং সাইনেজ ইন্ডাস্ট্রির একটা জমজমাটি আড্ডা কেই বা মিস করতে চায় বলুন? নতুন প্রজন্ম শিখবে আর আগের প্রজন্ম শেখাবে- তবেই না একসঙ্গে স্বপ্ন সফল হবে। বিশেষত যারা প্রিন্টিং কিংবা সাইবার ক্যাফে বিজনেসের সঙ্গে যুক্ত বা ভাবছেন এই ধরণের ব্যবসা শুরু করবেন, তাদের কাছে তো এই ধরণের মেলা ভিসিট করাটা ভীষণ ইম্পরট্যান্ট। যেখানে আপনি এক্সপার্ট অপিনিওনও পাবেন, আবার গাইডেন্সও।
কথায় আছে, বিন্দু বিন্দু জমে নাকি সিন্ধু তৈরি হয়। কথাটা কিন্তু একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কারণ, আজ পাঁচ বছর পর একটা হিউজ রেসপন্স আসছে গোটা ভারতের প্রিন্টিং এবং সাইনেজ ইন্ডাস্ট্রি থেকে। কিন্তু এই ধরণের এক্সপো ইন্ডিভিজুয়াল বিজনেস সিনারিও বা লোকাল বিজেন সিনারিওকে কতটা সমৃদ্ধ করে?
পাঁচ বছর পরেও কি এই ধরণের উদ্যোগের একিরকমের ভ্যালু থাকবে? কী বলছেন এক্সপার্টরা।
প্রিন্টিং এবং সাইনেজ ইন্ডাস্ট্রির লেটেস্ট ট্রেন্ড এবং টেকনোলজিকে হাইলাইট করে আগামীর জন্য একটা ইম্পরট্যান্ট মেসেজ থ্রো করলো এই মেগা এক্সপো। আর এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে অপর ব্যবসায়ী যে অটুট বন্ধনে যুক্ত হলেন এই অনুষ্ঠানে, তা ভবিষ্যতে এই ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যে বাড়তি ফুয়েল জোগাবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই লোকাল তথা ইন্ডিয়ান ইকোনমিক সিনারিওকে সমৃদ্ধ করতে এই ধরণের উদ্যোগ, নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ