Daily
সবচেয়ে বড় খবর আসছে বাংলাদেশ থেকে।
ভূমিকম্পে গুঁড়িয়ে যেতে পারে বাংলাদেশের ঢাকা, সিলেট সহ একাধিক শহর। ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে জান মালের।
মুখ থুবড়ে পড়তে পারে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সার্কভুক্ত অন্যতম উদীয়মান আর্থিক শক্তিধর দেশ বাংলাদেশ।
রিখটার স্কেলে যদি ৭ শতাংশের আশেপাশে ঢাকায় ভূমিকম্প হয় তবে ভেঙে পড়তে পারে মহানগরী ঢাকার ২৫% ঘরবাড়ি। আর্থিক ক্ষতি হতে পারে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কমপক্ষে মারা যাবেন তিন লাখেরও বেশি মানুষ।
এমনই আশঙ্কার কথা শোনালেন বাংলাদেশের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও ভূমিকম্প বিশারদ ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী।
একাত্তরের ঢাকার সঙ্গে ২০২১ এর ঢাকার পার্থক্য চোখে পড়ে রাজপথে পা রাখলেই। শহরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত মুখ ঢেকেছে শুধুই আকাশছোঁয়া বহুতলে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ঢাকা শহরের বেশিরভাগ বহুতল তৈরি হয়েছে জলাজমি বুজিয়ে। অভিযোগ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানা হয়নি বিল্ডিং কোড। শহরের রাজপথের ধারে দুপাশে ছোট ছোট বাড়ির পাশেই মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে একের পর এক বহুতল অট্টালিকা। ভূমিকম্প হলে গ্যাসের লাইন, বিদ্যুতের লাইন সব নিয়ে গলিপথ আটকে ভেঙে পড়বে একের পর এক বহুতল। উদ্ধারকার্য ব্যাহত হবে। মারা যাবেন বহু মানুষ। এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ঢাকার রাজপথের বিভিন্ন জায়গায় একেবারে গ্রাউন্ড জিরোতে দাঁড়িয়ে বিজনেস প্রাইম নিউজ।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বেঙ্গল আর্থ কোয়েক হয়েছে ১৮৯৭ সালে। এর ৩০০ বছর পর রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প ফিরে আসে পৃথিবীতে। তবে এর মাঝেই ১০০ বছর অন্তর ফিরে আসে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প। বাংলাদেশের আশেপাশে শেষবার বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়েছিল ১৯১৮ সালে। যেকোনো দিন আছড়ে পড়তে পারে আবারও ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প।
১৮৯৭ এর সেই ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের ১২৪ বছর পূর্ণ হল ১২ ই জুন। এর মধ্যেই ডাউকি বেল্টের পাশ ঘেঁষে বাংলাদেশের সিলেট শহরে সম্প্রতি একই দিনে পরপর ছবার ভূমিকম্প হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ৩০ টির বেশী ঝুঁকিপূর্ণ বাড়ি ও মার্কেট বন্ধ রাখা হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার সরকারের।
যেকোনো দিন যেকোনো সময় ভূমিকম্প শুরু হলে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে আজকের বাংলাদেশ। এই প্রশ্নটা যেমন সাধারণ মানুষের মনে হচ্ছে তেমনই মনে হচ্ছে বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তাদেরও। যদিও হাসিনা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
ঋদি হক, ঢাকা