Tourism

পুজোর সময় আবার দার্জিলিং? কেন উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং ছাড়াও তো আরও অনেক জায়গা রয়েছে। জানা, অজানা কত অফবিট প্লেস। দেখুন, দার্জিলিং এমনিই এখন বাঙালিদের দ্বিতীয় ডেরা। যখনই যাবেন, তখনই মানুষের মাথা। পুজোর ভিড় এড়াতে তাই পাহাড়ে গিয়ে আবার ভিড়ের মধ্যেই পড়বেন কেন? তাই আজ বিজনেস প্রাইম নিউজ আপনাদের ঘুরিয়ে আনবে অফবিট একটা জায়গায়। উত্তরবঙ্গ সফর হবে। সঙ্গে নদী, পাহাড়, আর পাহাড়ের বুকে থেকে যাওয়া আদিম সৌন্দর্যের মাঝে নিশ্চিন্তে ঘোরাঘুরিও করা যাবে। খরচও আহামরি কিছু নয়। জায়গাটার নাম শুনবেন? তাহলে দেখুন পুরো প্রতিবেদন। সঙ্গে খরচ, খরচার বিষয়টাও আপনাদের বলব। দেখবেন, হতাশ হবেন না।
পাহাড়, সামনে নদী আর চারিপাশে পাহাড়ের গায়ে বেড়ে ওঠা সবুজের রাজত্ব। সকাল হোক বা সন্ধ্যে- এ যেন সত্যিই নিশ্চিন্দিপুর। মানুষের কোলাহল নেই। চেঁচামেচি নেই। শুধু প্রকৃতির নিজস্ব রিদম কানে শুনবেন। খুব অফবিট একটা জায়গা। নাম দুধিয়া তোড়ে বস্তি। শুনতে বেশ খটমট লাগছে, তাই তো? তবে ঐ, নামে কি আসে যায়? আপনি যদি সত্যিই এই পুজোর ভিড় এড়িয়ে নিরিবিলি প্রকৃতির মাঝে কয়েকটা দিন কাটাতে চান, পাহাড়ি নদীতে পা ডুবিয়ে খানিক বসে থাকতে চান তাহলে দুধিয়া তোড়ে বস্তি আপনার জন্য পারফেক্ট। শিলিগুড়ি থেকে খুব একটা দূরেও নয়। দার্জিলিং যাবার পথেই পড়বে এই অফবিট জায়গা। শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ২০ কিমি।
এবার বলি এখানে যে আসবেন তা ফেসিলিটিজ কী কী পাবেন? এক দুধিয়া তোড়ে বস্তি এখনো পর্যটকদের আখড়া হয়ে ওঠে নি, দার্জিলিং-এর মতন। সুতরাং পর্যটকদের পা আর মাথা এখানে ঘনঘন পড়ে না। অতএব এখানে এলে মোটের ওপর ফাঁকাই পাবেন। কোলাহল বর্জিত প্রকৃতির এই আদিম সৌন্দর্যের মধ্যে ডুব দিতে পারবেন নিশ্চিন্তে। এখানে রয়েছে ক্যাম্পের ব্যবস্থা। এই যে দেখছেন তাঁবু খাটানো রয়েছে, এখানেই আপনি থাকতে পারবেন। খরচ? মাত্র ৬০০ টাকা। আরেকটা বিষয়, আপনি যদি মনে করেন তাহলে কিন্তু কাছাকাছি হোম স্টে রয়েছে। সেখানেও নিশিযাপনের ব্যবস্থা করে নিতে পারবেন। তবে ক্যাম্পে থাকলে সেই আনন্দ অন্যরকম। বন ফায়ার, ফিশিং, ট্রেকিং এসব করতে পারবেন মনমর্জি মতন। আর খাবার দাবার- স্বাদে লা জবাব। এখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অরগানিক ফার্মিং এর খাবার পেয়ে যাবেন।
আরেকটা বিষয়, সেটা অবশ্য অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য। এই পাহাড়ি গ্রামে ব্যবস্থা রয়েছে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের। তার খরচাও যে খুব বেশি তেমন কিন্তু নয়। সবমিলিয়ে কম খরচে দুধিয়া তোড়ে বস্তির মত জায়গা আর একটিও হয় না। সত্যি বলতে কী, নির্জনতাকে সঙ্গী করতে চাইলে এই জায়গার গুরুত্বকে লঘু করা যাবে না। এমনকি এখানকার স্থানীয় মানুষরাও পর্যটকদের আসার জন্য আহ্বান করছেন। গ্রামের লোকেদের সঙ্গে মিশে যাবেন আপনি সহজে। দেখবেন, পুজোর ছুটি যেন চোখের পলকে কেটে যাবে। জল, জঙ্গল আর পাহাড়ের কম্বিনেশন- দুধিয়া তোড়ে বস্তি যেন সত্যিই নিশ্চিন্দিপুর। তাই তো বলছি, সবসময় দার্জিলিং দার্জিলিং আর করবেন না। বরং পুজোর ছুটিতে একবার ঘুরে আসুন দুধিয়া তোড়ে বস্তিতে। প্রতিবেদনটি লাইক করুন, শেয়ার করুন। আর হ্যাঁ, ঘুরে আসলে কিন্তু অবশ্যই আপনার মতামত জানাবেন কমেন্ট বক্সে। দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ।
অরূপ পোদ্দার
শিলিগুড়ি