Trending

থেমে থাকে না বিজ্ঞানের গতি। তাই কাল যা জেনেছি, আজ তাই যেন পুরনো হয়ে যায়। সাধারণের সামনে খুলে যায় একেবারে নতুন একটি দিক। এই যেমন ‘ড্রাগন ম্যান’ এর কথাই ধরা যাক। প্রাগৈতিহাসিক যুগে যারা নিশ্চিন্তে ঘুরে বেরাত পৃথিবীর বুকে। এখন ভাবছেন ‘ড্রাগন ম্যান’ আসলে কে? তাহলে জেনে রাখুন ‘ড্রাগন ম্যান’ কোন অতিকায় মানব নয়, বরং এরাই হচ্ছে আধুনিক মানুষের সবচেয়ে কাছের পূর্বপুরুষ। যাদের বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় ‘হোমো লঙ্গি’।
এতদিন ধরে নিয়ান্ডারথাল মানুষদেরই আধুনিক মানুষের সবচেয়ে নিকট পূর্বপুরুষ বলে মনে করা হত। কিন্তু ক্রমশই পাল্টে যেতে চলেছে সেই ধারণা। পরিবর্তে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ‘হোমো লঙ্গি’ বা ড্রাগন ম্যানরাই ছিল আমাদের সবচেয়ে কাছের।
এই প্রাগৈতিহাসিক করোটি বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেছেন যে, এর মস্তিষ্ক আধুনিক মানুষদের তুলনায় ছোট হলেও অন্যান্য আদিম মানুষদের প্রজাতির থেকে কিছুটা বড়। মোটা ভ্রু, চক্ষুকোটর চৌকো, চওড়া মুখ এবং মুখের তুলনায় বেশ বড় আকারের দাঁত। বিজ্ঞানীদের ধারণা, প্রায় ১ লক্ষ ৪৬ হাজার বছর আগে আনুমানিক ৫০ বছর বয়সি এই মানুষটি জীবিত ছিল পৃথিবীর বুকে। এশিয়াই ছিল তাদের বাসভূমি। বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশে তারা ঘুরে বেরাত এবং শিকার করত বেঁচে থাকার জন্য।
উল্লেখ্য, ১৯৩৩ সাল থেকে চিনের এক যাদুঘরে রাখা আছে এই প্রাগৈতিহাসিক করোটি। যা পাওয়া গিয়েছিল উত্তর-পূর্ব চিনে। তারপর থেকেই শুরু হয় বিজ্ঞানিদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা। অবশেষে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হন যে এই করোটি আসলে মানুষেরই এবং সে হোমো সেপিয়েন্সের নিকটাত্মীয়।
ব্যুরো রিপোর্ট