Daily
প্রথাগত ধান, গম, ভুট্টা, পাট চাষের বাইরে বেরিয়ে, নিজের জমিতে নতুন কিছু ফসল ফলাতে আগ্রহি হচ্ছেন চাষিভাইরা। আর এই আগ্রহ বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছে কৃষি দপ্তরের আতমা প্রকল্প। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ার ইনফ্লুয়েন্স তো আছেই। আর সেই সুবাদেই সমৃদ্ধ হচ্ছে কৃষি ভিত্তিক বাংলার অর্থনৈতিক চালচিত্রটা।
সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা লোকমুখে ইদানিং ড্রাগন ফলের ডিম্যান্ড কিন্তু বেশ হাই। তাই চিরাচরিত প্রথা ভেঙ্গে এবার ড্রাগন ফল চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। এই যেমন উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ ব্লকের বোচাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা সুদরু মণ্ডল। পটল, মরিচ চাষ করার পাশাপাশি নিজের ১০ কাঠা জমিতে চাষ করছেন ড্রাগন ফল। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অন্য আরেক চাষির মুখে শুনেই এই চাষ শুরু করেন তিনি। চারাও কেনেন সেখান থেকেই।
দামে খানিকটা বেশি হলেও ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ হওয়ায় এই ফলের চাহিদা এখন ক্রমবর্ধমান। বাজার, দোকান কিংবা শপিং মল, সর্বত্রই ড্রাগন ফলের উপস্থিতি অন্তত সেটাই জানান দেয়। বর্তমানে গুণগত মানে পুষ্ট এই ড্রাগন ফল চাষ করে বেশ ভালো পরিমাণে লাভ করছেন কালিয়াগঞ্জের চাষিরা। কৃষি দপ্তরের আতমা প্রকল্পের সহায়তায় এলাকার প্রায় ১৫ থেকে ১৬ বিঘার মোট জমিতে এখন ড্রাগন ফল চাষ করছেন চাষিরা।
উৎপাদিত ড্রাগন ফল তারা বিক্রি করছেন কালিয়াগঞ্জ, রায়গঞ্জ সহ আশে পাশের বাজারে। ছোট সাইজের ড্রাগন ফল বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকা কেজিতে। আর একটু বড় মাপের ড্রাগন ফল বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি দরে। বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় আর্থিক ভাবে সফল হচ্ছেন কৃষকরা।
এলাকার চাষিরা যাতে আরও বেশি করে এই ড্রাগন ফল চাষে আগ্রহ দেখান তার জন্য জথাজত চেষ্টা চালাচ্ছে কৃষি দপ্তর। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে চাষের মাধ্যমে কৃষকদের আয় বৃদ্ধির জন্য চলছে প্রশিক্ষণ। আগামী দিনে আরও অনেক চাষির এই ড্রাগন ফল চাষে আগ্রহ বাড়বে বলে আশাবাদী কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা।
অনুপ জয়সয়াল
উত্তর দিনাজপুর