Trending
একটা সময় ছিল, যখন ভারতীয় যানবাহনের ঐতিহ্য বহন করত অ্যাম্বাসাডর। কিন্তু কালের নিয়মে অ্যাম্বাসাডর হারিয়ে ফেলে সেই ঐতিহ্য। এবার সেই অ্যাম্বাসাডর কামব্যাক করছে রাজকীয়ভাবে। এক বিদেশী সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে। তবে আজ আমরা অ্যাম্বাসাডরের কামব্যাক নিয়ে কথা বলব না। বরং আমাদের নজর থাকবে অ্যাম্বাসাডরের ইতিহাসের পাতায়।
১৯৫৭ সালে প্রথম অ্যাম্বাসাডরের চাকা ঘুরতে দেখেন দেশবাসী। হিন্দুস্থান মোটর্সের তৈরি এই অ্যাম্বাসাডর গাড়িটি সেই সময় দেশের রাস্তায় কার্যত রাজত্ব চালিয়েছে। নেতা, মন্ত্রী থেকে ধনী ব্যক্তি- সকলের কাছেই অ্যাম্বাসাডরের স্বকীয়তা ছিল একেবারে অন্যরকম। যাত্রী সুরক্ষা, স্বাচ্ছন্দ্য থেকে আরামদায়ক ট্র্যাভেল- সবকিছুতেই এগিয়ে থাকত অ্যাম্বাসাডর। দেশের রাস্তায় যেভাবে গাড়িটি ছেয়ে গিয়েছিল সেটাই প্রমাণ করে দেয় হিন্দুস্থান মোটর্সের সাফল্য সেই সময় কোন উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছিল। একেবারে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই অ্যাম্বাসাডর গাড়িটি তৈরি করা হত হুগলি জেলার উত্তরপাড়ায়। এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম গাড়ি কারখানা হিসেবে জায়গা করে নিয়েছিল এই কারখানা। সেই সময় যে পরিমাণ অ্যাম্বাসাডর সেই সময় ম্যানুফ্যাকচার করা হত, তার ১৬% কিনে নিত খোদ সরকার। কিন্তু জানেন কি সেই সময় মানে ১৯৫৭ সালে একটি অ্যাম্বাসাডর গাড়ির দাম কত ছিল? ১৯৫৭ সালে যখন হিন্দুস্তান মোটর্স প্রথম অ্যাম্বাসাডর মার্ক-ওয়ান গাড়িটি লঞ্চ করে তখন এই গাড়ির দাম রাখা হয়েছিল ১৭ হাজার টাকা। আজকের হিসেবে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা।
দামের দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে থাকলেও অ্যাম্বাসাডরের জনপ্রিয়তা সেইসময় তুঙ্গে উঠেছিল। এরপর অবশ্য গাড়ি বাজারের চূড়ান্ত কম্পিটিশনের কারণে গাড়িটি তার কৌলীন্য হারাতে বসে। ২০১৪ সালে শেষবারের মতন ম্যানুফ্যাকচার করা হয় অ্যাম্বাসাডর। সেই সময় অ্যাম্বাসাডরের দাম ছিল ৫ লক্ষ টাকার একটু বেশি। এরপর দীর্ঘ কয়েক বছরের বিরতি। আবার ভোল পাল্টে রাজকীয়ভাবে গাড়ি বাজারে জোর টক্কর দিতে হাজির হবে অ্যাম্বাসাডর। জানা গিয়েছে, ইলেকট্রিক মডেল আনার পরিকল্পনাও রয়েছে।