Trending
করোনায় থমকে গিয়েছিল মেলাকেন্দ্রিক অর্থনীতি। আর মেলাকেন্দ্রিক অর্থনীতিকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয় গ্রামীণ শিল্পীদের জীবন জীবিকা। গত দেড় বছর ধরে মেলা যেন ঠাঁই পেয়েছে ইতিহাসের পাতায়। তাই পৌষ মাসের সংসারে শিল্পীদের ঘরে শুধুই ছিল হতাশা। সেই হতাশা কাটাতে এবার উদ্যোগী হলেন জলপাইগুড়ি জেলার জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু।
আনন্দধারা প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে, উদ্বোধনী সঙ্গীতের আবহে (উদ্বোধনী সঙ্গীতের ভিজুয়াল) প্রদীপ জ্বালিয়ে নিজের কালেক্টরেট বিল্ডিংয়ে বসালেন সুসজ্জিত স্টলের হস্তশিল্পীদের মেলা। উদ্দ্যেশ্য একটাই। উৎসবের মরশুমে বিশেষ করে পুজোর মুখে শিল্পীরা যাতে নিজেদের জিনিস সরকারি ছাতার তলায় বিক্রি করে দু’পয়সা ঘরে তুলতে পারেন।
আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই মেলা চলবে জেলাশাসকের অফিস চত্বরে। বেলা ১২টা থেকে সন্ধ্যে ৭টা পর্যন্ত। জেলার বিভিন্ন ব্লকের হস্তশিল্পীরা যেমন এসেছেন, তেমনই জৈব পদ্ধতিতে চাষ করা সব্জি থেকে জ্যান্ত, টাটকা মাছ সবই থাকছে মেলার আসরে।
ইনি ওমেগা মিনজ। সদস্যা স্বনির্ভর মহিলা গোষ্ঠীর। রীতিমত উচ্ছ্বসিত মেলায় আসতে পেরে। বেচাকেনার নেশায়।
রীতিমত করোনা সতর্কতা বিধি মেনে জেলা প্রশাসনের সক্রিয় সহযোগিতায় চলছে এই মেলা। আর অফিস চত্বরে মেলা হওয়ায় বিক্রিবাট্টা ভালো হবে বলেই মনে করছেন মেলায় আশা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।
ইনি প্রভাতী রায়। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যা। বিক্রি করেন এক বিশেষ ধরণের চাল।
শিল্পী আর শিল্পকর্ম করোনার আবহে দুটোই আজ আক্রান্ত। সেই আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ালো জেলা প্রশাসন।
নবেন্দু বাড়ৈ
জলপাইগুড়ি