Daily
গুলাব চলে গিয়েছে। মায়ানমার উপকূলে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপ ও ঘূর্ণাবর্তের জেরে বানভাসি হতে চলেছে বাংলা।
অন্তত আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে এমনটাই সর্তকতা জারি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা যেমন থাকবে, তেমনি সঙ্গে থাকবে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর সহ ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়ায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। একই রকম সর্তকতা শুনিয়েছে দিল্লির মৌসমও। তবে কাল বুধবার এই জেলাগুলির সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি সহ কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের সর্তকতা জারি করল আবহাওয়া দপ্তর।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর এর পক্ষ থেকে ঠিক কি বলা হয়েছে সেটাও শোনাবো।
ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে বকখালি ফ্রেজারগঞ্জ, নামখান্ কাকদ্বীপের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে গিয়েছে। সাগরদ্বীপের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজে হাত দিয়েছে প্রশাসন। তৈরি হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সামগ্রিক অবস্থা আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে সে কথাই তুলে ধরছেন ক্যানিং লাগোয়া হোটেলের ছাদ থেকে বিজনেস প্রাইমের প্রতিনিধি দীপান্বিতা দাস।
তবে এখনো পর্যন্ত নিম্নচাপ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে বড় কোনো প্রভাব না ফেললেও প্রভাব পড়তে পারে সুন্দরবন লাগোয়া অঞ্চলের মানুষের মধ্যে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন লাগোয়া নদীতীরবর্তী মানুষদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেই সুন্দরবনের অঞ্চলের রায়দিঘি থেকে একেবারে সেখানকার বাস্তব ছবিটা দেখাচ্ছেন আমাদের প্রতিনিধি নবাব মল্লিক।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া সাম্প্রতিক নিম্নচাপের বানভাসি হতে পারে ২ মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কতা পেয়েই তৎপর হয় দুই মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসন। তড়িঘড়ি সমুদ্র লাগোয়া দীঘা, মন্দারমনি, তাজপুর, উদয়পুর সহ একাধিক সমুদ্রতীরবর্তি অঞ্চল গুলি থেকে মানুষদেরকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজে হাত দিয়েছে জেলা প্রশাসন। পর্যটকদের সমুদ্রস্নানে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। জেলার সামগ্রিক ছবিটা তুলে ধরছেন বিজনেস প্রাইম নিউজ এর প্রতিনিধি প্রসূন ব্যানার্জি।
গোটা রাজ্য জুড়ে এখন রয়েছে চূড়ান্ত সর্তকতা। রাজ্য সরকার যেমন কলকাতায় কেন্দ্রীয়ভাবে কন্ট্রোল রুম খুলে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। ঠিক তেমনি চিহ্নিত জেলাগুলিতে ব্লক স্তরেও কন্ট্রোল রুম খুলে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে জেলা প্রশাসন। তবে বাড়তি সতর্কতা রয়েছে বিদ্যুৎ বিপর্যয় এড়াতে। বিদ্যুৎ দপ্তরের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে দীপান্বিতা দাস, রায়দিঘি থেকে নবাব মল্লিক ও পূর্ব মেদিনীপুর থেকে প্রসূন ব্যানার্জির রিপোর্ট, বিজনেস প্রাইম নিউজ।