Agriculture news
এবার ইলিশ আক্ষেপ কমতে চলেছে বাঙালির। রাজ্যে বর্ষা এলেও ইলিশের টিকিটিও দেখা যাচ্ছিল না বাজারে। মুখ ব্যাজার করেই বাজার থেকে ফিরতে হচ্ছিল এতদিন। সপ্তাহখানেক যাবৎ রাজ্যের বেশ কয়েকটি বাজারে ইলিশের দেখা মিললেও দামে কার্যত ছ্যাকা দিচ্ছিল। তাই লোভ থাকলেও সামাল দিয়েই চলতে হচ্ছিল মধ্যবিত্ত বাঙালিকে। আর মাছে-ভাতে বাঙালির এই ইলিশ আক্ষেপ কমাতেই মৎস্যজীবীদের জালে ধরা দিল টন টন ইলিশ।
রাজ্যে বর্ষা ঢুকেছে তাও বেশ কদিন হল। কিন্তু বাদলা দিনেও পাতে এক পিস ইলিশ না পাওয়ায় বাধ্য হয়েই অন্য মাছের দিকে ঝুঁকতে হচ্ছিল আমবাঙালিকে। গত ২৫ জুন ব্যানড পিরিয়ড কাটিয়ে মাছ শিকারে নেমেছিলেন মৎস্যজীবীরা। ফিরলেন ট্রলার ভর্তি ইলিশ মাছ নিয়ে। এর আগে কাকদ্বীপ বা ডায়মন্ডহারবারে সামান্য কিছু ইলিশ জালে ধরা দিলেও, সম্প্রতি দিঘা মোহনায় ধরা পড়েছে প্রায় ২৫ টনের ইলিশ। এক একটি ইলিশের ওজন রয়েছে এক কিলো থেকে ১২০০ গ্রাম পর্যন্ত। তবে শুধু বড় ইলিশই নয়। ধরা পড়েছে ৪০০-৭০০ গ্রামের ইলিশও। বাজারে বিপুল ইলিশের যোগান থাকায় দাম কমার আশ্বাস দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও ইলিশের দেখা পাওয়া যায়না বাজারে। এবছর শুধু নয়। এই সমস্যা প্রতিবছরের। ফলে মরশুমের শুরুতেই আকাশছোঁয়া দামে বিক্রি হয় ইলিশ। ওজন যাই হোক না কেন, দাম সবসময়ই চড়া থাকে। নিজেরা একটু সচেতন হলেই কিন্তু মরশুমের শুরু থেকেই ইলিশ উপভোগ করা যায়। আক্ষেপ নিয়ে বাজার যেতে হয় না। এই প্রসঙ্গে কী বলছেন ফিশারম্যান ফ্রি স্ট্যাটাস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস? শুনে নেব।
প্রকৃতি সহায়। তাই ট্রলার ভরে ইলিশ ঢুকছে দিঘার মোহনায়। বাজারেও রাজ করছে বাঙালির সবচেয়ে প্রিয় ইলিশ। ব্যবসায়ীরা আশা রাখছেন হয়তো পরবর্তী ট্রলারেও আরও প্রচুর ইলিশ মাছ আসবে। আর তেমনটা হলে মধ্যবিত্তের পকেটও সহায় থাকবে ইলিশ মাছ কেনার জন্য। মূল্যবৃদ্ধির বাজারে এটা একটা স্বস্তির বিষয় তো বটেই।
প্রসূন ব্যানার্জি
পূর্ব মেদিনীপুর