Daily
সপ্তাহের তৃতীয় কাজের দিন মঙ্গলবার। স্থান ঢাকা নিউমার্কেট চত্বর। আর পাঁচটা দিনের মতোই লক্ষ মানুষের সমাগম হয় এই বাজারে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এখানে আসেন যেমন ব্যবসায়িক প্রয়োজনে তেমনি নিজেদের ব্যক্তিগত প্রয়োজন মেটাতেও।
অনেকেই রসিকতা করে বলেন ঢাকা মহানগরীর একমাত্র এই বাজারে পাওয়া যায় সবকিছু। আলপিন থেকে এলিফ্যান্ট। সবকিছুর যোগানদাতা ঢাকার নিউমার্কেট। এখানে ছোট-বড় মাঝারি সব মিলিয়ে পঞ্চাশ হাজার দোকান রয়েছে। কর্মচারীদের সংখ্যা লক্ষের গণ্ডি ছাড়িয়েছে অনেক দিন আগেই। কলকাতার নিউমার্কেটের থেকেও আয়তনে, পরিসরে অনেকটাই বড় ঢাকার নস্টালজিয়া ঢাকার নিউমার্কেট। ব্যবসায়ীদের হাল শুনুন ব্যবসায়ীদের মুখ থেকেই।
দফায় দফায় করোনার সংক্রমণ আর লকডাউনে বন্ধ হয়ে যায় এই নিউমার্কেটের বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড। দীর্ঘ দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে বাজার বন্ধ থাকায় এই বাজারকেন্দ্রিক অর্থনীতিতে নেমে আসে বড় সংকট।
চলতি বছরের আগস্ট মাসের ১১ তারিখ থেকে বাংলাদেশ আনলক পর্ব শুরু হয়। সেই থেকে চল্লিশ দিন পার হয়ে গেলেও এখনো জোরালো ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড দেখা যাচ্ছে না বাংলাদেশ নিউ মার্কেট চত্বরে। বিশেষ করে পাইকারি বাজারে হেলদোল একেবারে নেই বললেই চলে। অথচ মানুষের ভিড় লেগেই রয়েছে। ঢাকা নিউ মার্কেটের উল্লেখযোগ্য হলো বস্ত্র ব্যবসা। সে হোলসেল মার্কেটের বস্ত্র ব্যবসায় এখন চলছে মন্দার ছোঁয়া। খুচরো ক্রেতারা আসছেন না। তাই পাইকারি মার্কেটে বিক্রি বাটার গতিটা অনেকটাই কম। নিরুপায় হয়ে ব্যবসায়ীরা সরকারি সাহায্যের দাবি জানাচ্ছেন।
ভারতের মতো বৃহৎ আর্থিক শক্তির দেশে করোনায় যখন সংকুচিত হয়েছিল দেশের জিডিপি তখনো উদীয়মান আর্থিক শক্তির দেশ বাংলাদেশের আর্থিক হাল এতটা খারাপ ছিল না। কিন্তু দফায় দফায় লকডাউন আর ব্যবসা বন্ধ থাকায় সেই অর্থনীতির ভিতে একটু হলেও চিড় ধরেছে।
ঋদি হক
ঢাকা