Trending

আশ্বিনমাস। শরৎকাল। দেবীপক্ষ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কল্পারম্ভের ষষ্ঠদিনে মা দুর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাস সম্পন্ন হয় এই মহাষষ্ঠীতে। শাস্ত্রমতে মা মর্ত্যলোকে এসে এই বিল্ববৃক্ষেই অবস্থান করেন। তাই বেলগাছের তলাতেই মায়ের আমন্ত্রণ ও অধিবাস প্রথমে সম্পন্ন করতে হয়। বলা যেতে পারে, বোধনক্রিয়া সম্পন্ন হয় মহাষষ্ঠীতেই।
পুরানমতে শ্রী রামচন্দ্র যখন যুদ্ধক্ষেত্রে লঙ্কাপতির সামনাসামনি হয়েছেন তাঁকে পরাজিত করার জন্য, দেখলেন স্বয়ং মা চণ্ডী লঙ্কাধিপতিকে কোলে করে বসে রয়েছেন। কিছুতেই রাবণকে পরাজিত করা সম্ভব নয়। তখন শ্রীরাম মায়ের আরাধনা করে মাকে বোধন করলেন। সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই শারদীয়া উৎসব অকাল বোধন নামেই পরিচিত। আর বোধনক্রিয়া সম্পন্ন করেছিলেন বেলগাছের নিচে বসে।
তাই রাবণ বধের নিমিত্তে জগৎ কল্যাণে মা লঙ্কাধিপতিকে যেই ছেড়ে দিলেন তার ঠিক নবম দিনের মাথায় মাকে তুষ্ট করলেন নিজের হাতে মূর্তি গড়ে শ্রী রাম। সেদিনও ছিল আশ্বিনমাস। শুক্লাপক্ষে ষষ্ঠী তিথি আর এই ষষ্ঠী তিথিতেই তিনি মাকে তুষ্ট করেছিলেন ষোড়শপচারে আমন্ত্রণ অধিবাসের মধ্যে দিয়ে। আমন্ত্রণ অধিবাসের মূল অর্থই হল, মা তুমি এখানে অধিষ্ঠান কর। পাদ্ম, অর্ঘ্য থেকে বস্ত্র, সুগন্ধি সবকিছুই নিবেদন করা হয় এই ষষ্ঠীতে মায়ের বোধনক্রিয়ায়। (মন্ত্র যাবে- ভিডিও)
তাই ষষ্ঠীতে মা উমা আসলেন। নিজের বাড়িতে। উমাকে স্বাগতও জানানো হল। আসলে বাঙালির উমা বাড়ির উমার মতই। তাকে সাজাতে, যতনে বাঙালি ব্যস্ত থাকে সারাবছর ধরে উমার অপেক্ষায়। আজ তো সবে ষষ্ঠী। উমা এসছেন। আমাদের মাঝে। কল্যাণের জন্য। শান্তির জন্য। জীবনের জন্য।
তপজা চক্রবর্তী
বিজনেস প্রাইম নিউজ