Market
ট্যাংকার ধর্মঘট প্রত্যাহার হলেও এখনও স্বাভাবিক হয়নি রাজ্যের পেট্রোল পাম্পগুলো। আজ কোম্পানির সঙ্গে আলাপ আলোচনার পর ধর্মঘটী বেঙ্গল ট্যাংকারস অ্যাসোসিয়েশন তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়। মেনে নেওয়া হয় ধর্মঘটীদের তিন দফা দাবিকে। তারপরেই দুপুরের পর থেকে কাজকর্ম স্বাভাবিক হতে শুরু করে মৌড়িগ্রামের ইন্ডিয়ান অয়েল ডিপোতে।
গত কয়েকদিনের ট্যাংকার অ্যাসোসিয়েশনের ধর্মঘটে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া, হাওড়া, মুর্শিদাবাদ সহ রাজ্যের বিভিন্ন ইন্ডিয়ান অয়েলের পাম্পগুলিতে তেলের জোগান তলানিতে ঠেকেছিল। এদিকে ধর্মঘট মিটে গেলেও জেলায় জেলায় পাম্পগুলিতে চলছে শুখা মরশুমের চিত্র। বেশ কয়েকদিন তেলের জোগান বন্ধ থাকায় পাম্পগুলিতে সাধারণ মানুষ থেকে পণ্য পরিবহনে তৈরি হয় অস্থায়ী অচলাবস্থা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ধর্মঘট ওঠার প্রাক মুহূর্তে পেট্রোল পাম্পের সেই ছবি তুলে ধরলেন বিজনেস প্রাইম নিউজের প্রতিনিধিরা। মুর্শিদাবাদের একটি পেট্রোল পাম্পে তো ধরা পড়ল শুনশান ছবি। কোন লোকজনের চিহ্নমাত্র নেই।
ট্যাংকার ধর্মঘট উঠে গেলেও বারাসাত চাঁপাডালি মোড়ের পেট্রোল পাম্পে আজকের মতই তেল মজুদ রয়েছে। সুতরাং আদৌ কাল থেকে তেলের জোগান স্বাভাবিক হবে কিনা বলতে পারছেন না পাম্পের মালিক স্বয়ং।
বারাসাতের মত নদীয়া জেলার পেট্রল পাম্পগুলিতেও চলছে একই রকম দশা। কোথাও তেল আছে কোথাও তেল নেই।
তুলনামূলকভাবে অনেকটাই ভালো অবস্থা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার। রাজ্যের বাদ বাকি অংশে ইন্ডিয়ান অয়েলের পাম্পগুলি মৌরিগ্রাম এর উপর নির্ভর করলেও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে বজবজ থেকেও তেলের জোগান দেওয়া হয়। এই জেলায় তেলের সংকট তেমন তৈরি হয়নি।
শহর কলকাতা ডানলপের ছবিটাও নদীয়া জেলার মতো। একেবারে ডানলপ মোড়ে ইন্ডিয়ান অয়েলের পেট্রোল পাম্প তেলের জোগান একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে।
উত্তর ২৪ পরগনা থেকে বিক্রম লাহা, নদিয়া থেকে রনি চ্যাটার্জী , দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে দীপান্বিতা দাস, কলকাতা থেকে অঙ্কিত মুখার্জী