Daily
করোনায় থরহরি কম্পদশা এই মুহূর্তে বাংলার। সংক্রমণের গ্রাফ প্রতিদিনই ঊর্ধ্বমুখী। নিম্নমুখী হবার কোন জায়গায়ই নেই। গত সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত করোনা যেন লংজাম্পে ফার্স্ট প্রাইজ নিয়েই চলেছে। হাসপাতালে শয্যা নেই। রয়েছে অক্সিজেনের অভাব। রয়েছে চিকিৎসকদের উৎকণ্ঠা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতিদিনই মৃতের সংখ্যাও। গত সোমবার রাজ্যে সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৮৪২৬ জন। মৃতের সংখ্যা ছিল ৩৮। মঙ্গলবার তা লাফিয়ে বৃদ্ধি পায় ৯৮১৯-এ। আর মৃতের সংখ্যাও এক লাফে হয় ৪৬। বুধবারেই করোনা প্রথম এ রাজ্যে ১০ হাজারে পা রাখে। ঐ দিন মৃতের সংখ্যা ছিল ৫৮। বৃহস্পতিবার ১০ হাজারের গণ্ডি টপকে সংক্রমিতের সংখ্যা হয় ১১,৯৪৮। ঐ দিন মৃতের সংখ্যাও লাফিয়ে পৌঁছয় ৫৬-র ঘরে। সুপার ফ্রাইডেতেও করোনা রেকর্ড ব্রেক করে। ঐ দিন সংক্রমিতের সংখ্যা হয় ১২,৮৭৬। একদিনে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা ছোঁয় ৫৯।
দেশে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যাও গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে তিন লাখের আশেপাশে। দেশজুড়েই রয়েছে হাসপাতালে শয্যার হাহাকার এবং কান্না। প্রতিদিনই সরকার চেষ্টা করছে কিভাবে করোনাকে বাগে আনা যায়। সংক্রমন বাগে আনা তো দূর অস্ত, উল্টে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্বজনহারাদের মৃত্যু মিছিল প্রতিদিনই বাড়ছে একটু একটু করে। এই যেখানে বাস্তব অবস্থা সেখানে এই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রেল স্টেশনে, ট্রেনের কামরায় কেউ মাস্ক পরছেন, কেউ মাস্ক খুলে রাখছেন কেউ বা আবার তড়িঘড়ি ক্যামেরা দেখে মাস্ক পরার চেষ্টা করছেন। বাঁকুড়ায় রাজনৈতিক দল বাজারে বাজারে নেমে পড়েছে জনগণকে সচেতন করতে। অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় রীতিমত পুলিশ নিয়ে মাইকিংয়ের কাজে নেমে পড়েছে প্রশাসন। শহর কলকাতার লাগোয়া সল্টলেক সিটিতে মাইক হাতে নেমে পড়ে বিধাননগর থানার পুলিশ। জনগণকে সচেতন করতে। বর্ধমান থেকে বনগাঁর মছলন্দপুর, উত্তর দিনাজপুর- রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মানুষের কথা শুনুন আমাদের ক্যামেরায়
বাঁকুড়া থেকে আব্দুল হাইয়ের সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর থেকে মানস আদক ও সল্টলেক থেকে মানস চৌধুরীর রিপোর্ট