Market

অর্থনীতির চাকা যে ঘুরতে শুরু করেছে, তার প্রমাণ বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্র আবারও দাঁড়াচ্ছে মাথা তুলে। যার মধ্যে অন্যতম গাড়ি শিল্প। গতবছর লকডাউনে যা এককথায় তলানিতে চলে যায়। ক্রেতাদের মধ্যেও নতুন গাড়ি কেনার আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তাই আপনিও যদি গাড়ি কিনতে চান, তবে এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্যই। কারণ আজ আপনারা জানতে পারবেন এমন কয়েকটি গাড়ির সম্পর্কে, যাদের চাহিদা পৌঁছে গিয়েছে তুঙ্গে।
মাহিন্দ্রা থর:
সেকেন্ড জেনারেশনের এই গাড়িটির চাহিদা সবসময় থাকে তুঙ্গে। ভারতীয় বাজারে এই গাড়িটি আত্মপ্রকাশ করে ২০২০ সালের অক্টোবরে। তারপরেই গাড়িটি ভারতীয় ক্রেতাদের মন জয় করে নেয়। এরইমধ্যে আবার দ্বিতীয় ঢেউ এসে পড়ায় গাড়ি উৎপাদন হোঁচট খায়। এদিকে ভারতের গাড়ি বাজারে তৈরি হয় থর নিয়ে ব্যপক চাহিদা। তাই বর্তমানে মাহিন্দ্রা থর কেনার কথা ভাবলে ক্রেতাকে অপেক্ষা করতে হবে ৭ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত।
হুডাই ক্রেটা:
হুন্ডাই সংস্থার অন্যতম জনপ্রিয় গাড়ি হল ক্রেটা। ফলে ক্রেতা যদি নতুন একটি ক্রেটার কথা ভাবেন তবে ধৈর্য ধরতে হবে। কারণ এই আন্তর্জাতিক গাড়ি সংস্থাটি জানিয়েছে, বর্তমানে ক্রেটার চাহিদা বেড়েছে তিনগুণ। সেই মত বেড়েছে অপেক্ষার সময়সীমা। ক্রেটার জন্য আপাতত গ্রাহককে অপেক্ষা করতে হবে প্রায় ৯ মাস পর্যন্ত।
মারুতি আর্টিগা:
ভারতীয় গাড়ি বাজারে মারুতি সংস্থার গাড়ির চাহিদা সবসময় থাকে ঊর্ধ্বমুখী। সেদিক থেকে দেখতে গেলে আর্টিগা এমপিভি মডেলের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়। সঙ্গে রয়েছে সিএনজি পাওয়ার। পেট্রোল ডিজেলের বেলাগাম মূল্যবৃদ্ধির কারণেই সিএনজি পাওয়ারের আর্টিগার চাহিদা বাড়ছে। ফলে গাড়ি হাতে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ন্যূনতম ৯ মাস। তবে সংস্থা সূত্রে খবর, পেট্রোল গাড়ি হলে অপেক্ষার মেয়াদ একটু কম হবে। পাওয়া যাবে ৫ মাসের মাথায়।
নিসান ম্যাগনাইট:
ভারতের গাড়ি মার্কেটে ক্রেতাদের মধ্যে নিসান কোম্পানির ম্যাগনাইট গাড়িটি যথেষ্ট আকর্ষণ তৈরি করেছে। তার অন্যতম প্রধান কারণ দাম। সাব-৪-মিটার এসইউভি নিতে গেলে ম্যাগনাইটের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া বেশ কঠিন। তাই এর চাহিদা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে নতুন গ্রাহকদের এই গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে হতে পারে ৭ মাস পর্যন্ত।
টাটা নেক্সন:
গাড়ি বাজারেও টাটার জনপ্রিয়তা সমান। তাই ক্রেতাদের মধ্যে টাটা নেক্সনের চাহিদা ব্যপকভাবে তৈরি হয়েছে। কিন্তু অতিমারি পরিস্থিতির কারণে সেমিকন্ডাকটর এবং চিপের ঘাটতি থাকায় প্রোডাকশন একটু হলেও ধাক্কা খেয়েছে। তাই নেক্সনের পেট্রোল এবং ডিজেল গাড়ি ডেলিভারি পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ৩ থেকে ৫ মাস পর্যন্ত। তবে কেউ যদি নেক্সন ইভি চান, সেক্ষেত্রে সর্বাধিক ২ মাসের মধ্যেই গাড়ি পাবার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে।
ব্যুরো রিপোর্ট