Daily
দামে সস্তা অথচ গুণমানে সমৃদ্ধ হওয়ায় শ্রীলঙ্কার চায়ের কদর জগতজোড়া। উৎপাদিত চায়ের প্রায় ৯৫ শতাংশ বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু সম্প্রতি অর্থনৈতিক ডামাডোলের কারণে ব্যাপক পরিমাণে ধাক্কা খেয়েছে সেখানকার চা শিল্প। ফলে ভারতের কাছে সুযোগ এসেছে বিশ্ব বাজারে চা রপ্তানিতে নিজের জায়গাটা আরও স্পষ্ট করার। কিন্তু পটাশের মূল্যবৃদ্ধির কারণে উত্তরবঙ্গের চা শিল্পও সংকটের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে। তাই সুযোগ থাকলেও উপায় নেই ভারতের।
বসন্তের শেষে উত্তরবঙ্গ জুড়ে বৃষ্টি হওয়ায় ফার্স্ট ফ্ল্যাশ চা উৎপাদন বেশ ভালো হয়েছিল। তবে এবার সময় এসেছে সেকেন্ড ফ্ল্যাশ চা উৎপাদনের। আর যার স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য দরকার প্রচুর পরিমাণে পটাশ। মাটিতে নাইট্রোজেন আর ফসফরাসের সঠিক ব্যালেন্স চায়ের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কিন্তু বাজারে অভাব রয়েছে সেই পটাশেরই। বাড়তি পয়াসা দিয়েও মিলছে না পর্যাপ্ত পটাশ। যার জেরে চরম সংকটের মুখে উত্তরবঙ্গের চা শিল্প।
বাজারে উত্তরত্তর মূল্যবৃদ্ধির জেরে দাম বাড়ছে পটাশের। গত বছর যে পটাশের দাম ১৭ হাজার টাকা প্রতি মেট্রিকটন ছিল, এবছর সেই পটাশ কিনতে হচ্ছে ৪০ হাজার টাকা মেট্রিকটন দামে। সরকারের কাছে এই সমস্যা নিয়ে ইতিমধ্যেই আবেদন করেছেন টি অ্যাসসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার উত্তরবঙ্গ ব্রাঞ্চের চেয়ারম্যান চিন্ময় ধর।
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই পটাশ সমস্যার সমাধান না হলে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন চা শিল্পের সাথে যুক্ত তিন লক্ষেরও বেশি শ্রমিক। তাই ভারতের চা উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে এখন সরকার কি পদক্ষেপ নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে উত্তরবঙ্গের চা বলয়।
অভিজিৎ চক্রবর্তী
আলিপুরদুয়ার