Trending

সেই প্রাচীনকাল থেকে দোল উৎসবে মেতে আসছেন আপামর সকলেই। ইতিহাসকে সাক্ষী রেখে দোল উৎসব মানেই রঙের খেলা। সময় পেরিয়েছে। কিন্তু ভাটা পড়েনি উন্মাদনায়। ফলে দোলের কয়েকদিন আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় রং বা আবির কেনার বহর। তবে ভেষজ আবিরের চাহিদা ফি বছর বেড়েই চলেছে। আর সেই ছবিটাই এবার ধরা পড়ল উত্তর দিনাজপুর জেলায়।
উত্তর দিনাজপুর জেলার ধন্দুগছ শক্তি স্বনির্ভর দলের মহিলারা। দোলের কয়েকদিন আগে থেকেই ভেষজ আবির তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন। যাদের অনেকেই আবার বছরের অন্যান্য সময়ে চাষাবাদও করে থাকেন। ভেষজ আবির তৈরির প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিল উত্তর দিনাজপুর কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র। যা তাঁদের উপার্জনের রাস্তা অনেকটাই খুলে দিয়েছে। এই বছরে হলুদ এবং বিট দিয়েই তাঁরা তৈরি করছেন আবির। তিন-চার বছর ধরে কাজ করছেন। ভালো সাড়াও পেয়েছেন তাঁরা।
গতবার লকডাউন থাকা সত্ত্বেও তাঁরা একটু ভয়ে ভয়ে কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু এবারে যেন সব ভয় তাঁদের কেটে গেছে। গতবার দেড় কুইন্টাল ভেষজ আবির তৈরি করা হয়েছিল। এবার আরও বেশি পরিমাণ তৈরির টার্গেট নিয়েছেন তাঁরা। নিজের এলাকা তো বটেই। এমনকি শিলিগুড়ি ও কোচবিহার পর্যন্ত তাঁরা পৌঁছে দিচ্ছেন এই ভেষজ আবির। শুধু হলুদ আর বিট নয়। আবির তৈরিতে গাঁদা ফুল, গোলাপ, পলাশ সহ আরও বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করা হয়। শরীরের জন্য একেবারেই ক্ষতিকারক নয় বলে এই ভেষজ আবিরের চাহিদা বাড়ছে প্রতি বছর। যা তাঁদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।
একদিকে উত্তর দিনাজপুর তো অন্যদিকে মালদা। করোনার ধাক্কায় দু’বছর ব্যবসা প্রায় শিকেয় উঠেছিল। কিন্তু এই বছরে আবিরের চাহিদা ফের বাড়তে শুরু করায় হাসি ফুটেছে বিমল পালের। যিনি ৩৫ বছর যুক্ত রয়েছেন আবির ব্যবসার সঙ্গে। ভেষজ আবিরের চাহিদা যে এবারে বেশি সে কথাও স্বীকার করলেন তিনি। দোলের আগে দিন রাত এক করে তাঁর কারখানায় কাজ করেছেন শ্রমিকরা। ভেষজ আবিরের চাহিদা বাড়ছে বলেই প্রায় ১৫ থেকে ২০ কুইন্টাল হারবাল আবির তৈরি করা হয়েছে তাঁর কারখানায়।
গত দু’বছরের ধাক্কা সামলাতে হয়েছে আবির ব্যবসায়ীদের। কিন্তু এই বছর ফের বিক্রিবাটা স্বাভাবিক হয়েছে। মানুষের মধ্যেও চাহিদা বেড়েছে ভেষজ আবিরের। আর তাই দোলের কয়েকদিন আগে থাকতেই ভেষজ আবির তৈরির ব্যস্ততা পৌঁছে যায় চরমে।
অনুপ জয়সোয়াল, বিক্রম লাহা
বিজনেস প্রাইম নিউজ