Daily
উত্তর ২৪ পরগণা জেলার দেগঙ্গা। এখানকার বেতের তৈরি ঝুড়ির কদর গোটা বাংলা জুড়ে। দেগঙ্গার বেলডাঙা, ঝুড়িপাড়া, আমিনপুর, চৌরাশি, সহ বিস্তীর্ণ এলাকার প্রায় ৩০০ টিরও বেশি পরিবার বেতের তৈরি ঝুড়ির কাজের সঙ্গে যুক্ত। তবে, গত দুবছর মহামারির থাবায় ভাটা নেমেছে ব্যবসায়। ফলে, কীভাবে উনুনে ভাত চাপবে, সে নিয়ে বেশ চিন্তিত এখানকার মুলি পরিবারের সদস্যরা।
গত দুবছর আমফান ও ইয়াসের ঝড়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে আম, জাম, কাঁঠাল সহ বিভিন্ন ফলের গাছ, কৃষিজ ফসল। তার উপর এবারের আমের কম ফলন। ফলে বাঁশের তৈরি ঝুড়ির চাহিদা কমেছে অন্যান্যবারের তুলনায়। কাজেই একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার দেগঙ্গার এই ঝুড়ি ব্যবসা।
বিগত কয়েকদিনে নিম্নচাপের জেরে বেড়েছে বৃষ্টির দৌরাত্ম্য। অতিবৃষ্টির কারণে খোলা জায়গায় সাজিয়ে রাখা ঝুড়িতে পচন ধরছে। অবিলম্বে পলিথিনের পেপার দিয়ে মজুত রাখা ঝুড়ি না ঢাকলে হাজার হাজার টাকার জিনিস একেবারে ধূলিসাৎ হয়ে যাবে।
একে নিম্নচাপের বৃষ্টি তায়ে আবার আমের ফলন কম। এরইমধ্যে আবার অতিমারির থাবায় গত দুবছর ব্যবসা একেবারে বন্ধ। এই বছরেও লাভের মুখ দেখছেন না ব্যবসায়ীরা। সবটা মিলিয়ে ব্যাপকভাবে আর্থিক ক্ষতির শিকার ঝুড়ি ব্যবসায়ীরা।