Market
একে শুকনো আবহাওয়া তার ওপর ভাইরাসের কামড়- সব মিলিয়ে চা শিল্পে শনির দশা। ফলে এই বছরের প্রথম পাঁচ মাসে আসাম এবং পশ্চিমবঙ্গের চা উৎপাদনে তৈরি হয়েছে ভালো রকমের ঘাটতি। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে চা বিক্রিতেও।
জানা গিয়েছে, গত এক মাসে চায়ের মূল্য অনেকটাই বেড়েছে। ন্যায্য মূল্যের থেকে ৫-১০% চড়িয়ে চা বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে এক কাপ চা পান করতে গেলেও ভালো টাকা খরচা করতে হচ্ছে।
চা বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে আসাম এবং পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা পৌঁছে গেলে সেকেন্ড ফ্লাশ চায়ের স্বাদ ফার্স্ট ফ্লাশের থেকেও অনেকটা বেড়ে যায়। কিন্তু এই বছর এপ্রিল এবং মে প্রায় শুকনোই গেছে। বৃষ্টি না পাওয়ার কারণে মে মাসে ২৫% কম উৎপাদন হয়েছে চায়ের। যদিও গত বছরের মত এই বছরে চা শিল্প কোনরকম লকডাউন দেখেনি, কিন্তু এবারে চা উৎপাদনের জন্য খলনায়ক হয়ে উঠল শুকনো মরসুম। স্বাভাবিকভাবেই, এখন কেজি প্রতি চায়ের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫০-২৬০ টাকায়।
একেই কম উৎপাদন তার ওপর চড়া দাম সব মিলিয়ে চা চাষে এখন ঘোর অমাবস্যা। কারণ প্রকৃতি চায়ের প্রতি এমন বিরূপ মনোভাব দেখাবে কে ভেবেছিল?
ব্যুরো রিপোর্ট