Daily
![business Prime New-](https://businessprimenews.com/wp-content/uploads/2022/08/Defaulter-loan-creates-record-in-Bangladesh_WEB.jpg)
খেলাপি ঋণের অঙ্ক ক্রমেই চওড়া হচ্ছে পড়শি দেশ বাংলাদেশে। যা তথ্য জানা যাচ্ছে, তাতে মনে করা হচ্ছে সেই খেলাপি ঋণের অঙ্ক দিয়েই চারটে পদ্মা সেতু তৈরি করা সম্ভব হত। অবাক হচ্ছেন তো? দেখুন, পদ্মা সেতুকে বাংলাদেশের অন্যতম মেগা প্রোজেক্ট বলা হয়। আর মেগা প্রোজেক্ট তৈরি করার জন্য বাজেটের দিকটাও দিনে দিনে চওড়া হতে থাকে। পদ্মা সেতু নির্মাণে বাংলাদেশের কোষাগার থেকে ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি। তাহলে বুঝতে পারছেন তো, ঋণ খেলাপের অঙ্কটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে?
জানা গিয়েছে, খেলাপি ঋণে সর্বোচ্চ রেকর্ড তৈরি করছে বাংলাদেশ। অঙ্কটা প্রতিদিন জমতে জমতে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২৫ হাজার ২৫৭ কোটি টাকারও বেশি। আর এটাই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে, কিভাবে বাংলাদেশে এই বিপুল পরিমাণ ঋণের অঙ্ক জমা হচ্ছে? আর কেনই বা হাসিনা সরকার এই বিষয়ে কঠিন মনোভাব দেখাচ্ছে না? বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সূত্র বলছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি যে ক্রমশই এক আশঙ্কার খাদের দিকে এগোচ্ছে, তার অন্যতম কারণ এই অনাদায়ী ঋণ। এই অঙ্কটা যদি বাংলাদেশের কোষাগারে থাকত, তাহলে বাংলাদেশের বর্তমান আর্থিক অবস্থা নিয়ে যে টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, সেটার অনেকটাই মোকাবিলা করা সম্ভব হত। কিন্তু ভয়ের এখানেই শেষ নেই। কারণ বিভিন্ন সূত্র বলছে, খেলাপি ঋণের যে অঙ্কটা প্রকাশ্যে এসেছে, তার থেকে অনেকটাই বেশি রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু কেন দিন দিন খেলাপি ঋণের অঙ্কটা বেড়েই চলেছে?
মনে করা হচ্ছে, আর্থিক খাতে কেলেঙ্কারির পাশাপাশি রয়েছে ঋণ খেলাপিদের বারবার সুযোগ করে দেওয়া। যে কারণে তাঁরাও ঋণ খেলাপ করতে অনেকটা সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। আর যে কারণে ২০০৯ সালের পর থেকে ঋণ খেলাপের অঙ্কটা বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ গুণ মতন। এই তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাঙ্কগুলি। উল্লেখ্য, এর আগেও ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড বা আইএমএফ একবার সতর্ক করে বলেছিল যে বাংলাদেশে ঋণ খেলাপির আসল তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়নি। মনে করা হয়েছিল, খেলাপি ঋণের অঙ্কটা পৌঁছে যেতে পারে প্রায় আড়াই লক্ষ কোটি টাকায়। আবার অনেকে বলছেন, আসলে অঙ্কটা ছাড়িয়ে গিয়েছে ৪ লক্ষ কোটি টাকার গণ্ডি। স্বাভাবিকভাবেই বলা হচ্ছে, খেলাপি ঋণের অঙ্কটা যেভাবে বাড়তে চলেছে, তা বাংলাদেশ কোষাগারে থাকলে বহু প্রতিবন্ধকতাকে সহজেই এড়াতে পারত। ঘুচত বেকারত্ব, তৈরি হত বিপুল কর্মসংস্থান।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ