Market
জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশের ইলিশ। বাংলাদেশের জিডিপিতে যার অবদান থাকে ১ শতাংশেরও বেশি। বাংলাদেশের মৎস্য গবেষকরা বলছেন, যখন একদিকে বাংলাদেশের প্রতিবছর ইলিশ উৎপাদনে বৃদ্ধির হার ১২ থেকে ১৪ হাজার মেট্রিক টন। সেখানে এই বছর ইলিশের উৎপাদন হচ্ছে সাড়ে ৫ লক্ষ মেট্রিক টন। এই পরিমাণ ইলিশের বাজারমূল্য ৩৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
কিন্তু একদিকে যখন ইলিশের এই বিপুল উৎপাদন নিয়ে বাংলাদেশ রয়েছে শীর্ষে তখন বাংলাদেশের মাছের বাজারে বিক্রেতাদের গলায় শোনা গেল একেবারে উল্টো সুর। বর্ষা চলে যাচ্ছে। শেষের দিকে ইলিশের মরশুম। ৪ অক্টোবর থেকে ইলিশ ধরার ওপর জারি ছিল নিষেধাজ্ঞা। ২৫ অক্টোবরের পর থেকে আবারও শুরু হয় ইলিশ ধরা। তবে এবারে কমেছে ইলিশের আমদানি। ফলে বাড়ছে দাম। এক থেকে দেড় কেজি ওজনের মাছ বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজিতে।
কিন্তু কেন রাখা হল ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা? জানালেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক আধিকারিক ও এশিয়ার অন্যতম ইলিশ গবেষক ড. আনিছুর রহমান।
গত বছর প্রজনন মরশুমে সাড়ে ৭ লক্ষ কেজির বেশি ডিম ছেড়েছে ইলিশ। গত বছরে বিশ্বের মোট ইলিশের ৮৬ শতাংশই উৎপাদিত হয়েছে বাংলাদেশে। মৎস্য বিজ্ঞানীদের নিরন্তর প্রচেষ্টায় ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে ইলিশের উৎপাদন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। যদিও ভারতে কিন্তু ইলিশ উৎপাদনের হার ক্রমশ নিম্নমুখী। তাই ইলিশের দাম বাংলাদেশের বাজারে একটু বেশি থাকলেও যাদুকরী ইলিশের ঐতিহ্য বজায় রেখে দিয়েছে বাংলাদেশ।
ঋদি হক
ঢাকা