Trending
নামেই তালপুকুর। আদতে ঘটি ডোবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
ধারে ভারে শিল্প হলেও এখনও গায়ে জোটেনি শিল্পের তকমা। তাই শিল্পক্ষেত্রে যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে এরাজ্যের ডেকরেটর শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা।
মরার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মত মাথায় ঝুলছে চড়া জিএসটি র খাঁড়া।
একে অতিমারি। দুয়ে, অস্তিত্ব সংকটে জেরবার রাজ্যের ডেকরেটর শিল্প। এবার সেই শিল্পের মূল কয়েক দফা দাবি নিয়ে চলতি মাসের ২০ তারিখে রাজ্যজুড়ে প্রতীকী ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ ডেকরেটর সমন্বয় সমিতি।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন মহকুমায় শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। চলতি মাসের ২০ তারিখে রাজ্যজুড়ে যে প্রতীকী ধর্মঘট হবে। সেই ধর্মঘটের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়।
রাজ্যের উৎসবের মরসুমে ছাড়াও সারা বছরই এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকে বেশ কয়েক লক্ষ মানুষের জীবন-জীবিকা। কিন্তু সরকারি বিধি নিষেধের জাঁতাকলে পড়ে এই শিল্পীদের আজ নাভিশ্বাস ওঠার
উপক্রম।
রাজ্যে ডেকরেটর শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন কমপক্ষে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ। তাঁদের রোজকার জীবন জীবিকা নির্ভর করে এই শিল্পের উপর। সেই শিল্পে সরকারি নিয়ন্ত্রণের কড়াকড়ি আর কাজের ক্ষেত্রে সিভিল কন্ট্র্যাকটারদের আগ্রাসন যেন অনেকটাই সংকটাপন্ন করে তুলেছে বাংলার এই ঘরোয়া শিল্পকে।
মূলত সরকারি বিধি নিষেধ শিথিল করা, উচ্চ হারে জিএসটি প্রত্যাহার করে এই শিল্পে জিএসটির হার ৫ পার্সেন্ট এ নিয়ে আসা। সর্বোপরি ডেকরেটর শিল্পকে এমএসএমই ক্ষেত্রের আওতায় নিয়ে এসে এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মানুষদের কম সুদে ব্যাঙ্ক লোনের ব্যবস্থা সহ একগুচ্ছ দাবিতে সারা রাজ্যে স্তব্ধ হয়ে যাবে চলতি মাসের ২০ তারিখে ডেকরেটর শিল্পে একদিনের প্রতীকী ধর্মঘট।
রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ স্তর থেকে জানা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে এই শিল্পের হাল হকিকত সম্পর্কে রাজ্য সরকার যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। তবে করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে বিধি-নিষেধের কড়াকড়ি এখনি তোলা না হলেও এই শিল্পের অন্যান্য দাবিগুলি নিয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল রাজ্য সরকার।
এখন কত তাড়াতাড়ি ডেকরেটর শিল্পের সঙ্গে যুক্ত লক্ষ লক্ষ মানুষের দাবি দেওয়া সরকার পূরণ করতে পারেন সে দিকেই নজর থাকবে সবার।
উত্তর ২৪ পরগনা
বিক্রম লাহা