Market
কোভিড আসার আগে পর্যন্ত সাধারণ মানুষের কাছে আদানি তেমন একটা পরিচিত ছিলেন না। কিন্তু করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার পর থেকেই সাধারণ মানুষের কাছে লাইমলাইটে আসতে শুরু করেন গৌতম আদানি। গ্যালোপিং গতিতে আদানির সম্পদ বৃদ্ধি শুধু ভারত বলে নয় বিশ্বের তাবড় তাবড় বিলিওনেয়ারসদের রাতের ঘুম কেড়ে নেয়। সেই তালিকায় অবশ্য ছিলেন, ভারতের অন্যতম ধনকুবের মুকেশ অম্বানি। যিনি একটা সময় ছিলেন এশিয়ার ওয়েলদিয়েস্ট ম্যান, আজ তাঁকেই পিছনে ফেলে দিয়ে গ্লোবাল র্যাঙ্কিংয়ের তিন নম্বর পজিশনে উঠে আসেন আদানি। পিছনে ফেলে দিয়েছেন বিল গেটসকেও। এই বিষয়টা একদিক থেকে আদানির হাসি চওড়া করেছে ঠিকই। কিন্তু আশঙ্কার মেঘ দেখছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
গৌতম আদানির এই বিপুল সম্পদ বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে পাহাড়প্রমাণ ঋণকেই। এই মুহূর্তে আদানি গোষ্ঠীর ঘাড়ে চেপে রয়েছে প্রায় ২.২২ লক্ষ কোটি টাকার ঋণের অঙ্ক। আর এটাই মারাত্মক হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার মধ্যে অন্যতম ‘ক্রেডিট সাইট’। এটি একটি বিদেশি অর্থলগ্নি সংক্রান্ত পরামর্শদাতা সংস্থা। এই সংস্থাটি জানিয়েছে যে, আদানি গোষ্ঠী যেভাবে ব্যবসা বাড়ানোর জন্য ঋণের বোঝাকেও বাড়িয়ে তুলেছে, সেটা একদিক থেকে কোম্পানির জন্য অশনি সংকেত নিয়ে আসতে পারে। বলা হচ্ছে, আদানি নিজেও বিদেশি মুদ্রার প্রচুর পরিমাণ ঋণ নিয়েছে। সম্প্রতি নাকি এসবিআইয়ের থেকে ১৪ হাজার কোটি টাকার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। ঋণের বোঝা বাড়তে বাড়তে এমন অবস্থায় পৌঁছেছে, যে বর্তমানে আদানির গ্রিন এনার্জি লিমিটেড ঋণভারে ঝুঁকে পড়া এশিয়ার কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। এখানেই উঠছে প্রশ্ন।
কেউ ভয় পাচ্ছেন, এই বিপুল অঙ্কের ঋণ দেশের অর্থনীতির উপর আলাদা করে চাপ তৈরি করবে নাতো? কারণ ঋণের ভার সকলে সহ্য করতে পারেন না। তার উদাহরণ খোদ নীরব মোদী, বিজয় মাল্য। আদানি গোষ্ঠী যেভাবে নিজেদের ব্যবসা প্রসারের জন্য এগিয়ে চলেছেন, সেই ঋণের অঙ্কই আদানির গলার কাঁটা হয়ে উঠবে নাতো? কারণ আমরা সবাই জানি, বিভিন্ন সেক্টরে আদানি গ্রুপ নিজেদের ব্যবসা প্রসারের জন্য এই ঋণ নিচ্ছেন। তার মধ্যে অন্যতম তাপবিদ্যুৎ, গ্রিন এনার্জির মতন সেক্টর। তাই সবমিলিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে দেশ-বিদেশের বহু বিশেষজ্ঞদের। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার এখনো গৌতম আদানির উপরে ভরসা রেখেছেন ভালোরকম। আপনার কি মনে হয়? আদানির এই বিরাট অঙ্কের ঋণ কি আদৌ দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে? প্রশ্ন রইল আপনাদের কাছে। মতামত জানান কমেন্ট বক্সে।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ