Daily

এমন অস্ত্রের প্রয়োগ করা হবে, যাতে সাপও মরে আর লাঠিও না ভাঙ্গে। খবর রয়েছে, পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে গ্রহাণু। যার ধাক্কায় কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে পৃথিবী। আর খবর পাওয়ার পরও চুপটি করে বসে থাকবে গ্রহের শ্রেষ্ঠ জীব? না! কখনই না! তাই বিশ্বের বৃহত্তম সায়েন্স স্টেশনে শুরু হয়ে গেল দিন রাত এক করে গবেষণা। উপায়ও বেরিয়ে এলো নিমেষেই। মানব প্রজাতির বুকের ছাতি আরও খানিকটা চওড়া হয়ে গেল।
গ্রহাণুকে চূর্ণবিচূর্ণ করতে নাসার নতুন মিশন। নাম? ডার্ট (DART) – ডবল এস্টরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট। পৃথিবীকে টার্গেট বানানোর আগেই, তাদের টার্গেট বানিয়ে ভেঙ্গে দেবে এই অস্ত্র – মহাকাশযানটি। সেকেন্ডারি বডি হসেবে বেছেও নেওয়া হয়েছে ১৬০ মিটারের Didymos নামের একটি গ্রহাণুকে। চলতি বছরের নভেম্বরেই এই লঞ্চ উইন্ডো শুরু করছে নাসা। ২০২২ এর সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে যা ওই সেকেন্ড বডির সাথে সংঘর্ষ করবে। আর সংঘর্ষের মুহূর্তে এই গ্রহাণু থাকবে পৃথিবী থেকে মাত্র ১১ মিলিয়ন কিমি দূরে।
জোরকদমে চলছে পরীক্ষামূলক প্রস্তুতি। কোনরকম ত্রুটি রাখা যাবে না। এতটুকু ত্রুটি হলেই ডাইনোসরের মত বিলুপ্ত হয়ে যাবে গোটা মানবজাতি। শেষ হয়ে যাবে পৃথিবীর জীব বৈচিত্র্য। সৌরজগত থেকে হারিয়ে যাবে পৃথিবীর অস্তিত্ব।
ব্যুরো রিপোর্ট