Daily

মাত্রাহীন রাসায়নিক প্রয়োগের ফলে কমছে মাটির উর্বরতা শক্তি। প্রভাব পড়ছে কৃষিক্ষেত্রে। তাই রাসায়নিক মাত্রা কমিয়ে জৈব সার প্রয়োগ করে কিভাবে ফলন ফলানো সম্ভব, সেদিকেই নজর রেখে আসরে নামল কৃষি দফতর। শসায় মিষ্টতা আনতে এবং পরিবেশবান্ধব চাষে উদ্বুদ্ধ করতে উদ্যোগী হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর ২ নম্বর ব্লকের কৃষি দফতর।
সম্প্রতি আতমা প্রকল্পের মাধ্যমে জৈব পদ্ধতিতে শসা চাষে উদ্বুদ্ধ করা হল কৃষি দফতর। আর তাতে যে সাফল্য এসেছে সে কথাটা স্বীকার করে নিয়েছেন জেলার চাষিরাই। প্রায় দুমাস আগেই কন্দর্পপুর গ্রামে সুনীল কুমার পাত্র সহ আরো বেশ কয়েকজন প্রগতিশীল কৃষককে উন্নত জাতের শসা বীজ সহ কেঁচো সারের মত বিভিন্ন জিনিস দিয়ে তাঁদের সাহায্য করা হয়। আর পরিশ্রমের ফলনও পেয়েছেন তাঁরা।
এমনিতে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক প্রয়োগের ফলে শসার ফলন তেমন একটা ভালো হয় না। শসা স্বাদেও একটু তেতো হয়। দেখা দেয় নানারকম শারীরিক সমস্যা। কিন্তু জৈব পদ্ধতিতে সঠিক উপায়ে চাষ করলে শসার ফলন যে ভালো হবে সে কথা নিশ্চিন্তে বলাই যায়।
শসার ফলন কেমন হচ্ছে সেটা দেখতে মাঝেমধ্যেই জমি পরিদর্শন করেন কৃষি দফতর। কৃষি আধিকারিকরাও এখন যথেষ্ট খুশি এই সাফল্যে। বর্তমানে চাষিরাই বাজারজাত করছেন এই জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত শসা।
প্রসূন ব্যানার্জী
পূর্ব মেদিনীপুর