Trending
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের সময় ক্রুড অয়েল নিয়ে বিশ্বব্যাপী টানাপোড়েন তৈরি হয়। রাশিয়ার ওপর নামে পশ্চিমি দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা। সেই সময় তেলের দাম বাড়িয়ে বিপুল মুনাফা করেছিল সৌদি আরব। এরপর পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হবার দিকে খানিক আশা দেখতে পাচ্ছিল। কিন্তু দেখা গেল, ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম বাড়ল ফের। একধাক্কায় ৬% মূল্যবৃদ্ধির কারণে, ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের ব্যারেল প্রতি দাম ৮৫ ডলারে গিয়ে পৌঁছল। কিন্তু আকস্মিক এই মূল্যবৃদ্ধির কারণ কী?
সৌদি আরব, ইরাক সহ বেশ কয়েকটি গালফ দেশগুলি রবিবার বড়সড় ঘোষণা করে দেয়। তাদের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, দিন প্রতি এক মিলিয়ন ব্যারেল তেল কম উৎপাদন করবে দেশগুলো। এদিকে রাশিয়ার পক্ষ থেকেও জানিয়ে দেওয়া হয়, চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত হাফ মিলিয়ন ব্যারেল তেল দিন প্রতি উৎপাদন করবে। তারপরেই মূল্যবৃদ্ধির কোপ পড়ে ক্রুড অয়েল উৎপাদনে। ইউএস ন্যাশনাল সিকিওরিটি কাউন্সিলের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। তাদের মতে, এই মুহূর্তে বর্তমান অনিশ্চয়তায় ভরা মার্কেটের দিকে তাকিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক নয়। তারপরেই বিশ্ব বাজারে বিভিন্ন সংস্থা তাদের তেলের দর সোমবার থেকেই বাড়াতে চলেছে। সৌদি আরব দিনে ৫ লক্ষ ব্যারেল, ইরাক প্রতিদিন ২ লক্ষ ১১ হাজার ব্যারেল তেলের উৎপাদন কাটছাঁট করতে চলেছে। ইউএই, কুয়েত, আলজেরিয়া এবং ওমান তেলের উৎপাদন অনেকটাই কমিয়ে আনবে। তারপরেই বিশ্ববাজারে ফের তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। ফের প্রবল চাপের মুখে পড়তে পারেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের নিত্য দিনের খরচা এক ধাক্কায় বৃদ্ধি পেতে পারে অনেকটাই। এর ফলে ইনফ্লেশন রেট বৃদ্ধি পাবার একটা দারুণ সুযোগ তৈরি হয়ে গেল। এমনটাই মনে করছেন বহু বাজার বিশেষজ্ঞরা। কারণ ক্রুড অয়েলের দাম বৃদ্ধি পেলে ট্রান্সপোর্টেশন কস্ট বৃদ্ধি পাবার একটা সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু সেখানেও লক্ষ্য করা যাচ্ছে ভিন্ন মত।
কিছু কিছু বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ক্রুড অয়েলের দাম বৃদ্ধি মানেই সাধারণ মানুষের সংসার খরচা বাড়বে এমনটা কিন্তু নয়। কারণ আকস্মিক শর্ট টার্মে মূল্যবৃদ্ধি মানেই যে সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রভাব পড়তে চলেছে, বিষয়টা কিন্তু একেবারেই তেমন নয়। বিবিসির পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে যে, ক্রুড অয়েলের আকস্মিক মূল্যবৃদ্ধি হলেই যে ব্রিটেনের বাজারে রাতারাতি দাম বাড়বে, সেটা একেবারেই হবে না। যদি না ব্যারেল প্রতি দাম বেশ কয়েকদিনের জন্য ওপরের দিকে থাকে। সৌদি এনার্জি মিনিস্ট্রি অফিশিয়ালের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তেলের বাজারে দিকে তাকিয়ে এটা সতর্কতামূলক সিদ্ধান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ক্রুড অয়েলের দাম বাড়লেই আমজনতার ঘাম ছুটেছে। এবারেও কি মূল্যবৃদ্ধির সেই চাপ সরাসরি পড়তে চলেছে? প্রশ্নটা রাখলাম আপনাদের কাছে। মতামত জানান কমেন্ট বক্সে।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ