Market

সদ্য শেষ হয়েছে দুর্গোৎসব। রেশ এখনও কাটেনি। আর বাঙ্গালীর কাছে দুর্গাপুজো মানে যেমন রাত জেগে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘোরা, ঠাকুর দেখা আবার তার সঙ্গে অবশ্যই রসনা তৃপ্ত করা। এই বছরও তার অন্যথা হয়নি। জিভের স্বাদ মেটাতে রেস্টুরেন্ট গুলোতে ভিড় করেছে কাতারে কাতারে লোক। এ বছর এই কটা দিন আর বাড়িতে রান্না নয় এমনকি হোটেল থেকে খাবার আনিয়েও নয় বরং রেস্টুরেন্টে বসে খাবার খেতেই পছন্দ করেছেন বেশিরভাগ মানুষ। আর তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই এই কদিনে যে বেশ ভালোরকম লক্ষ্মীলাভ হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
চ্যাপ্টার ২ ও আউধ ১৫৯০ এর মতো রেস্তরাঁ চেইনের মালিক সংস্থা প্ল্যাটার হসপিটালিটির সহ প্রতিষ্ঠাতা ও ডিরেক্টর শিলাদিত্য চৌধুরী বলেছেন যে এ বছর স্যুইগি এবং জোম্যাটোর মাধ্যমে বিক্রি অনেক কম। তার মতে এ বছর লোকজন রেস্তোরাঁয় বসে খেতেই বেশি পছন্দ করেছেন। মোটামুটি একই মত পোষণ করেছেন রং দে বসন্তী ধাবা চেইনের মালিক সংস্থা জিং রেস্টুরেন্ট এবং চাউম্যান হসপিটালিটির ডিরেক্টর দেবাদিত্য চৌধুরীও। আমিনিয়া, আরসালান, কস্তুরী এমনকি শহরের দাদা বৌদির বিরিয়ানির ক্ষেত্রেও ওই একই চিত্র। আসলে কোভিড পরবর্তী সময়ে এটা দ্বিতীয় দুর্গাপুজো। আর তাই রাস্তায় মানুষের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মত। সমস্ত রেস্তোরাঁতে ভোর তিনটে পর্যন্ত ভিড় হয়েছিল। মোকাম্বো ও পিটার ক্যাট এর মালিক নীতিন কোঠারী মনে করেন যে প্রায় দু বছর পর মানুষ এমন খোলা মনে উৎসবে সামিল হয়েছে, নিশ্চিন্ত হয়ে রেস্তোরাঁতে খাবার খেয়েছে।
পঞ্চমী থেকে শুরু করে দশমী পর্যন্ত রাস্তায় এই জনজোয়ার বেশ এক লাভজনক ব্যবসা দিয়েছে রেস্তোরাঁগুলোকে। এই ছয়দিনে রেস্তোরাঁগুলোর মোট ব্যবসার অঙ্ক প্রায় ছাড়িয়ে গেছে ১১০০ কোটি টাকা। গত বছরের তুলনায় বিক্রি বেড়েছে ২০-২৫%। এই বিশাল লাভের অঙ্ক যে বহু ব্যবসায়ীকে এই ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে উৎসাহ দেবে তা আশাই করা যায়। পরিসংখ্যানও সেই কথাই বলছে। আর এটা নিশ্চিত ভাবেই দেশের অর্থনীতির পক্ষে ইতিবাচক।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ