২১-এ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি কর্মী, সমর্থকদের বোকা বানাচ্ছেন। এভাবেই সুর চড়াচ্ছেন বিরোধী নেতারা। তবে সবথেকে বেশি চাঁচাছোলা ভাষায় মমতাকে আক্রমণ শানিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। কেন? কারণ সেলিম মনে করেন মমতা যা বলেন তার ঠিক উল্টোটাই করেন। মমতা বলেছেন, যারা দুর্নীতি করবেন অন্যায় করবেন তাঁদের কোনভাবেই ছাড়া হবে না। সেখানে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস বলেও মানবেন না। প্রয়োজনে গ্রেফতার করা হবে। ২১-এ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে এভাবেই নিজের দলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখার জন্য কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে বলেছেন, তাঁর দলের কর্মীরা যদি গরিব থাকেন তো গরিবই থাকুন। এবারের ২১-এ জুলাইয়ের মঞ্চ যেন বিরোধীদের আক্রমণের থেকেও অনেক বেশি নিজের দলের বেনোজল বার করার পথটাই মুখ্যমন্ত্রী বাতলে দিয়েছেন। দলের উদ্দ্যেশ্যে তিনি বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেস যত জিতবে, তত নরম হতে হবে। কিন্তু এসব প্রসঙ্গ ওঠার পরেও মমতাকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন মহম্মদ সেলিম। সেলিম বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি সামনে বসে থাকা নিজের দলের কর্মীদের, সমর্থকদের বোকা বানিয়েছেন। একইসঙ্গে ১০ লক্ষ চাকরি নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েন নি সেলিম। কোথায় কিভাবে সেই চাকরি হল, সেই স্ট্যাটিস্টিক্স সবার সামনে তুলে আনতে বললেন সেলিম। কী বললেন সেলিম শুনে নিন।

মমতা দলীয় কর্মীদের উদ্দ্যেশ্যে বলেছেন, তিনি বিত্তবান চান না। বিবেকবান মানুষ চান। কিন্তু কোন কথার পরিপ্রেক্ষিতে সেলিম মমতাকে এভাবে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন সেটা একবার শুনে নিন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথার রেশ ধরেই বেশ কড়া স্বরে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেছেন যে, মমতা শুধু এবারে নয় আগেও যতবার কর্মী, সমর্থকদের উদ্দ্যেশ্যে বক্তব্য রেখেছেন তার সঙ্গে মমতার কাজের কোন মিল নেই। একইসঙ্গে ১০ লক্ষ কী বললেন তিনি শুনে নিন।

তাহলে প্রশ্ন মমতাক কি এবারেও সেই একই ট্র্যাডিশন বজায় রাখলেন? সত্যিই কি মমতা নিজের কর্মী, সমর্থকদের বোকা বানিয়েছেন? আপনারা কি সেলিমের কথার সঙ্গে একমত? জানান কমেন্ট বক্সে।

বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ