ঝাল মুড়ি, মশলা মুড়ি, চানাচুর মুড়ি তো অনেকেই খেয়েছেন। কিন্তু তাই বলে মাংস মুড়ি খেয়েছেন কখনও? আর যদি একটিবার চেখে দেখার ইচ্ছে হয়, তাহলে সোজা চলে যান নদীয়া জেলার হবিবপুরে।

নিজের সহধর্মিণীকে সঙ্গে নিয়ে বাহন বাইকটিতে চেপেই গোটা হবিবপুর জুড়ে রমরমিয়ে ব্যাবসা করছেন নদীয়ার নীহার রঞ্জন মজুমদার। অতিমারিতে নিজের একমাত্র রোজগার হারিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন অনেকে। নীহারবাবুর জীবনেও এর অন্যথা হয় নি। উপায় না দেখে নিজের সমস্ত জড়তা ও মানসিক অবসাদ কাটিয়ে, বেরিয়ে পরেছেন মাংস মুড়ি বিক্রি করতে। মানুষের খিদে মেটাতে আর মন জয় করতে মুড়ির চেয়ে ভাল খাবার হয় কী?

বাড়িতে ভাজা মুড়ি আর বাজার থেকে কেনা টাটকা সবজি, এবং অন্যান্য উপাদান নিয়ে মানুষের সাময়িক খিদে মেতাতেই মত্ত বিক্রেতা নীহার রঞ্জন বাবু।

সোশ্যাল মিডিয়াতে রীতিমতো ভাইরাল এই মশলা মুড়ি। হবে নাই বা কেন বলুন? স্বাদে- গন্ধে মনকাড়া এই মশলা মুড়ি। মাত্র ১০ টাকায় মিলছে বেশ পরিমাণ মতোই, মাংস মুড়ির স্বাদ নিতে নিতেই স্বীকার করলেন ক্রেতা আভাস বসাক।

সব খাবার একবার, মাংস মুড়ি বারবার। বেশ ভাল রকম সাড়া পাচ্ছেন এই ভাইরাল মুরির। পরিবারের দুর্দিনে স্বামিকে সাহায্য করতে পেরে এবং কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে পেরে খুশি নীহার বাবুর স্ত্রী রূপা মজুমদার।

গত বছর লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর কেউ মেতেছেন ঠাণ্ডা বরফের পানীয় ডালগোনা কফিতে আর কেউ নিজের একমাত্র রোজগার হারিয়ে হয়েছেন সর্বশান্ত। দুর্দিনের কালো মেঘ সরিয়ে এখন চুটিয়ে ব্যাবসা করছেন মজুমদার দম্পতি। ভবিষ্যতে এই মাংস মুড়ির চাহিদা যে আরও বাড়বে, সে বিষয়েও আশাবাদী তাঁরা।

রনি চ্যাটার্জী, নদীয়া