Market

পোশাক শিল্পের প্রধান উপকরণ হল তুলো। আর এই তুলো উৎপাদনে ঘাটতির ফলে সাঙ্ঘাতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত টেক্সটাইল শিল্প। দেশের ৫০% স্পিনিং মিল আজ বন্ধ।
তাছাড়া র এই বছর তুলোর দাম ও পরপর বৃদ্ধি পেয়েছে। জানুয়ারিতে প্রতি ক্যান্ডি অর্থাৎ ৩৫৬ কেজি তুলোর দাম ছিল ৬০০০০ টাকা যা মে মাসে বেড়ে হয়েছে ১,১০,০০০ টাকা। ফলে তুলো বোনার খরচ ও একধাপে ৭-৮% বেড়ে গেছে। তুলো উৎপাদনে ঘাটতি এবং মূল্যবৃদ্ধির কোপ পড়েছে দেশের রপ্তানি শিল্পেও। এই বছর সুতো, টেক্সটাইল এবং পোশাক রপ্তানি কমেছে প্রায় ৭০%।
দুশ্চিন্তায় দিন কাটচ্ছিলেন তুলো ব্যবসায়ীদের। আর এই দুশ্চিন্তার মধ্যেই এল খানিকটা স্বস্তির খবর। বিশেষজ্ঞরা জানালেন, ২০২৩-২৪ এ দেশের তুলো উৎপাদন প্রায় ১৫% বৃদ্ধি পাবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সাধারনভাবে অক্টোবর থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়কে তুলো বর্ষ হিসেবে ধরা হয়। আর এবছর অক্টোবর পর্যন্ত আবহাওয়া তুলো উৎপাদনের উপযোগী থাকায় বিশেষজ্ঞরা এমন আশা করছেন। Cotton Association of India (CAI) এর সভাপতি অতুল গণত্র জানিয়েছেন আগামী মাসগুলোতেও যদি আবহাওয়া অনুকূল থাকে, তাহলে তুলো উৎপাদন এর পরিমান সর্বাধিক ৩৭০-৩৭৫ লক্ষ ছুঁতে পারে যা নিঃসন্দেহে আশাসূচক। আর এই উৎপাদন বৃদ্ধি যে ভারতীয় অর্থনীতিতে কিছুটা হলেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে তা বলাই বাহুল্য।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ