Daily

মাত্রাহীন বিল মেটাতে অস্থির রোগী পরিবার। বেসরকারি হাসপাতালে গেলে মোটা অঙ্কের বিল মেটাতে হবে, হবেই। এমন কথা শুনে শুনে কান পচে গেছে আমজনতার। ক্ষোভ উগড়ে দিতে কখনও রোগীর পরিবারের রোষের শিকার হয়েছেন ডাক্তার অথবা নার্স। কিন্তু কোনদিনই কেউ ম্যানেজমেন্টকে প্রশ্ন করেনি, যে সামান্য সময়ের জন্যও কেন তারা মোটা অঙ্কের বিল ধরান?
গুরুতর কোন রোগে আক্রান্ত হলে প্রশ্ন করবেন নাকি চিকিৎসা করাবেন? চিকিৎসার জন্য দিনের পর দিন বাড়ছে ভেলোর যাওয়ার প্রবণতা? আচ্ছা, এই প্রবণতা কেন বাড়ছে, সেই প্রশ্ন করেছেন কখনও? উত্তর দেবে সেখাণকার খ্রিষ্টান মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের বিল। যার ধারে কাছে নেই কলকাতার তাবড় তাবড় বেসরকারি হাসপাতালের বিলগুলো।
সম্প্রতি উঃ ২৪ পরগনা জেলার এক ব্যক্তি অ্যাক্সিডেন্টে গুরুতর ভাবে আহত হন কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে ৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল সেই রোগী পরিবারকে বিল ধরায় ১৭ হাজার টাকার। রোগীকে নিয়ে চলে যাওয়া হয় অন্য এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে পা বাদ দেওয়ার কথা বলে রোগীর পরিবারের কাছে দাবি করা হয় প্রায় ৫ লক্ষের বিল। এরপর বন্ডে সই করে পরিবার সেই রোগীকে নিয়ে চলে যায় ভেলোর। মাত্র দু-সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। বিল? ১.১৯ লক্ষ টাকার।
পা বাদ দেওয়া তো দূর, অর্ধেকেরও কম খরচে চিকিৎসা করিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। এরপরই তোলপাড় হয় বেসরকারি হাসপাতালগুলির মাত্রাতিরিক্ত বিলের পরিমাণ নিয়ে। চিকিৎসার বিল ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিসমেন্ট কমিশনে জমা করেন রোগীর পরিবার। এরপরই কাঠগড়ায় উঠতে শুরু করে এক্র পর এক বেসরকারি হাসপাতাল। এখন এত কিছুর পর কবে তাদের হুঁশ ফেরে বা আদৌ ফেরে কিনা সেটাই দেখার।
ব্যুরো রিপোর্ট