Market

ঠিক যেসময় ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি এবং বড় শিল্প গুলি সেই সময় ফিরে এলো করোনা তার মহামারী রূপ নিয়ে। ফলে অনিশ্চয়তার মুখে এসে পড়ল অর্থনীতির ভবিষ্যৎ। ইতিমধ্যে রিজার্ভ ব্যাংক তাদের ভরাডুবি হাত থেকে বাঁচাতে বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এবার সেই আর্জি জানানো আবাসন শিল্প। গেল বছরের মতো এই বছরেও কয়েকটা মাস ঋণের কিস্তি স্থগিত রাখার জন্য অনুরোধ জানাল তারা।
গতবছরে লকডাউনের কারণে ক্রেতাদের মুখ থেকে উধাও হয়ে গেছিল হাসি। বিক্রি কমে গিয়েছিল ৪০-৫০ শতাংশ। আনলক পর্বে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে অর্থনীতি। ক্রেতারাও নতুন ফ্ল্যাট আবাসনের দিকে ঝুঁকতে শুরু করে। কিন্তু ফের বাধ সাধল করোনা। এপ্রিল মাসে ভালো বিক্রির আশা করেছিল নির্মাণ সংস্থাগুলি। যদিও বিভিন্ন রাজ্য জুড়ে লকডাউন বা আংশিক লকডাউনের কারণে থমকে গেল বিক্রির পথ। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের আতঙ্কে ক্রেতারা ফের মুখ ফেরাতে শুরু করলেন নতুন ফ্ল্যাট বাড়ি থেকে। ফলে ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা ঘোর অমাবস্যা নামতে শুরু করেছে নির্মাণ শিল্পে।
তাই রিজার্ভ ব্যাংকের কাছে নৌকাডুবির হাত থেকে বাঁচার জন্য আবারো অনুরোধ করেছেন তাঁরা। যেহেতু এবারে সংক্রমনের বহর অনেকটাই বেশি তাই আরবিআইকে প্রয়োজনীয় কিছু পদক্ষেপ নেবার আর্জি জানানো হয়েছে। গৃহঋণের সুদের হার কমলেও হয়তো ক্ষতির উপর কিছুটা প্রলেপ করতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।
ব্যুরো রিপোর্ট