Daily
ভুট্টার বহুমুখী উপকারিতা এবং ব্যবহার নিয়ে সাধারণ মানুষ যত বেশি ওয়াকিবহাল হচ্ছেন, ততই চাহিদা বাড়ছে ভুট্টার। আর বাজারে চাহিদা বাড়ায়, চাষের ক্ষেত্রেও আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। তবে ভুট্টা চাষ, কিংবা ভুট্টার উপকারিতা সম্বন্ধে আপনারা সকলেই জানেন। তাই সেসব বিষয়ে আজ কিছু বলব না। আজ বলব ভুট্টা গাছ নিয়ে এক নতুন ধরণের ব্যবসার কথা।
ভুট্টা চাষের পর, কিংবা ভুট্টায় পচন ধরলে চাষি ভাইরা সাধারণত ফল সহ গাছটিকে ফেলে দিয়ে থাকেন। আর যে কারণে, একটা বড় অঙ্কের ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয় তাদের। চাষি ভাইদের জন্য সুখবর। ভুট্টায় পচন ধরলেও সেই গাছ ফেলে দিতে হবে না আপনাদের। বরং সেই গাছ বিক্রি করে আপনি আয় করতে পারবেন। পচে যাওয়া বা ফেলে দেওয়া ভুট্টা গাছগুলোকে অত্যান্ধুনিক প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে তা থেকে তৈরি করা হচ্ছে পশুখাদ্য। কোথায় জানেন? উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর ব্লকের মাদারিপুর এলাকায়, ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে। সেখানে জাতীয় সড়কের পাশেই অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করে অত্যাধুনিক উপায়ে ভুট্টা গাছের থেকে পশুখাদ্য বানাচ্ছেন দার্জিলিং জেলার বিধাননগরের বাসিন্দা দুলাল ঘোষ।
কৃষকদের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যে কিনে এনে বিশেষভাবে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে প্যাকেটজাত হচ্ছে এই পশুখাদ্য। এর ট্রাকে করে সেগুলো চলে যাচ্ছে কলকাতা সহ ভিন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। কৃষকদের কাছে তো বটেই, পাশাপাশি এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকেই যথেষ্ট লাভবান হচ্ছেন।
খরচ কম আর সাথে পুষ্টিগুণে ভরপুর পশুখাদ্য হিসেবে বাজারে বেশ ভালরকমের চাহিদা আছে এই প্রোডাক্টের। আর কেউ যদি এই ব্যবসায় আগ্রহী হন, তাহলে লাভবান যে হবেন তা বলাই যায়। কাজেই যারা ব্যবসার মাধ্যমে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হওয়ার কথা ভাবছেন, তারা অনায়াসেই এই ব্যবসা শুরু করতেই পারেন।
অনুপ জয়সয়াল
উত্তর দিনাজপুর