Daily
গরমের দাপট থেকে বর্ষা স্বস্তি দিয়েছে রাজ্যবাসীকে। কিন্তু আষাঢ়স্য দ্বিতীয় দিবসে বেহাল বাংলা। একেই লকডাউনের কারণে বন্ধ গণপরিবহন। তার ওপর টানা দু’দিন ভারি বৃষ্টির জন্য কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। কোথাও হাঁটুজল তো কোথাও একটু কম। তার জেরেই নাজেহাল সাধারণ মানুষ। আর সেই ছবিই ধরা পড়ল বিজনেস প্রাইম নিউজের ক্যামেরায়।
বারাসাত চাঁপাডালি মোড়ে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে যাত্রীরা পাচ্ছেন না কোন পরিবহন। যাও বা একটা দুটো গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু ভাড়ার বহর শুনে চোখ কপালে উঠছে নিত্য যাত্রীদের।
অন্যদিকে জলমগ্ন কলকাতা বিমানবন্দর। গতকাল রাত থেকে একটানা বৃষ্টির জেরে এয়ারপোর্টের নিউ টার্মিনালে জমল জল। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, মেট্রোর কাজ চলার জন্য নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল দশা। তার জেরেই জমছে জল।
এবার শহর ছেড়ে বিজনেস প্রাইম পৌঁছল ঝাড়গ্রামে। সেখানকার অবস্থা বেশ শোচনীয়। ডুলুং নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় চিল্কিগড়, জামবনির সঙ্গে যোগাযোগ একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ওদিকে জলস্তর বাড়ছে সুবর্ণরেখার। এখন এলাকাবাসী সুবর্ণরেখা নদীতে বন্যার আশঙ্কা করছেন। ভেঙে পড়েছে কয়েকশো মাটির বাড়ি। জামবনির সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে জেলা শহর। বিকল্প কোন ব্যবস্থা নেই। তৈরিও হয়নি। কিন্তু বর্ষা এলেই সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েন এলাকার মানুষ।
বাঁকুড়ার অবস্থাও তথৈবচ। সারারত ধরে অত্যধিক বৃষ্টির কারণে গন্ধেশ্বরী নদীর সেতু চলে যায় জলের তলায়। বিপর্যস্ত যান চলাচল পরিষেবা, বিপর্যস্ত এলাকাবাসী।
পাটুলি থেকে হৃদয়পুর, থিয়েটার রোড থেকে ঝাড়গ্রাম- গোটা রাজ্য আজ বৃষ্টির দাপটে বিধ্বস্ত। তারপর বিধিনিষেধের কড়াকড়ির জন্য বন্ধ গণপরিবহন। ফলে কাজে যেতে পারছেন না অনেকেই। যেতে হলেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
উত্তর ২৪ পরগনা থেকে বিক্রম লাহা, অঙ্কিত মুখার্জী, এয়ারপোর্ট থেকে মানস চৌধুরী, ঝাড়গ্রাম থেকে অরূপ ঘোষের সঙ্গে বাঁকুড়া থেকে আব্দুল হাইয়ের রিপোর্ট