Daily

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার পরেই গ্রাহকদের মধ্যে স্মার্টফোন বিক্রিতে গতি আসে। শহর এবং গ্রামীণ এলাকায় বিক্রি চাঙ্গা থাকায় সংস্থাগুলির ব্যবসা অনেকটাই মসৃণ হয়ে যায়। অফিস থেকে স্কুল সবই চার দেয়ালের ঘেরাটোপে চলে আসার জন্য স্মার্টফোনের বিক্রিবৃদ্ধি।
সম্প্রতি একটি সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে ১০ হাজার টাকার কম মূল্যের স্মার্টফোন বিক্রির হার ছিল ৫১%। কিন্তু এই বছর সেই বিক্রি একধাক্কায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪%। ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত গ্রাহকদের চাহিদা অনেকটাই কমে যায়। আর যে কারণে বিক্রিও নেমে আসে তলানিতে। এরপর চাহিদা আবারও বাড়তে শুরু করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর। সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, শুধু ১০ হাজারের কম মূল্যের ফোনই নয় এমনকি সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল ফোনের বিক্রিও বাড়ে অনেকটাই।
জানা গিয়েছে, বর্তমানে মাঝারি রেঞ্জের মোবাইল ফোন গ্রাহকদের মধ্যে অনেকটাই চাহিদা তৈরি করেছে। ক্রেতারা এখন আর খুব দামি মোবাইল ফোনের দিকে ঝুঁকছেন না। তার অন্যতম প্রধান কারণ আর্থিক মন্দা। অতিমারি পরিস্থিতির কারণে দেশের এক বিরাট অংশের মানুষ আর্থিক অনিশ্চয়তায় ভুগতে শুরু করেন। দোসর হিসেবে রয়েছে ছাঁটাই, বেকারত্বের ভীতি। তাই প্রয়োজনীয় মোবাইল ফোনের জন্য ক্রেতারা আর খুব একটা বেশী খরচা করতে চাইছেন না। আর যে কারণে স্যামসাং, শাওমি বা রিয়ালমির মত দেশের প্রথম সারির স্মার্ট ফোন সংস্থাগুলির লক্ষ্য এখন মাঝারি দামের স্মার্টফোন তৈরি।
ব্যুরো রিপোর্ট